খুলনা : জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর মাগুরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানার নির্দেশে তার সাঙ্গপাঙ্গরা হাতিটানা নদীতে মাছ লুট ও নিরাপত্তা জাল কেটে ও লুট করে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার ভোরে তারা লুটপাট করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীরা ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দেয়া াভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার হাতিটানা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে মাগুরখালী ইউনিয়নের হাতিটানা নদীটি (বন্ধ) বিগত ১৪২৩, ১৪২৪ ও ১৪২৫ বাংলা বছরের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সায়রাত কেস নম্বর- ১৩/২০১৬ ইং মূলে ইজারা গ্রহণ করে। তারা সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর খাজনা সহ অন্যান্য খাতে অর্থ পরিশোধ করে থাকে।
হাতিটানা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য আহরণের মাধ্যমে আমার পরিবারের ভরণ-পোষণ চলে। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে চিহ্নিত কোড়াকাটা গ্রামের সঞ্জয় সানা, উদয় সানা আরো কয়েকজন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানার সহযোগীতায় আমাদের ইজারাকৃত নদীতে অবৈধ ভাবে জাল দিয়ে মাছ ধরে আসছিলো।
বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ জানালে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে অবৈধ দখলদারদের কিছু উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের সাঙ্গপাঙ্গরা খালের মুখে এখনও বেআইনীভাবে প্রায় ৩০ বিঘা জমি বাঁধ দিয়ে চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ চাষ করে আসছে। অবৈধ দখলদাররা সে দখল ছাড়েনি।
এদিকে খাল থেকে চেয়ারম্যানের দখলবাজদেও উচ্ছেদ করা হলে মৎস্যজীবীরা ওই খালে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়েন। পোনা মাছ নদীর বাইরে যাতে চলে না যেতে পারে তার একটি ভেন্ডি জাল ( বড় ছিদ্রযুক্ত) পেতে রাখি। পূর্বের অবৈধ দখলদাররা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত মঙ্গলবার বিধান সানাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন আমাদের জাল উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসে। অন্যথায় তারা জাল কেটে তছনছ করে দেবে বলে জানায় ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে বিধান সানা, মিলন বালা, ভূষণ সানা, উদয় সানা, দিপংকর সানা, বিমল মন্ডল, জামিনি বালা, কুমারেশ ওরফে বাঘা বালা, সুজিত মন্ডল, সুশান্ত বিশ্বাস, বাবলু মন্ডল, দেব প্রসাদ মন্ডল, সিদ্ধার্থ মন্ডল, কৌশিক মন্ডলসহ অজ্ঞাত ২০/২৫জন খালে লুটপাট চালায়। এসময়ে তারা মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য যোতিন বাছাড়, তপন মন্ডল ও অমল সানাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও জীবনণাশের হুমকি দিয়ে মাছ, মাছ ধরা জাল, নৌকা ও হাতে থাকা মুঠোফোন লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক ক্ষতি দেড়লাখ টাকা।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ শাহানাজ বেগম বলেন জলাশয়ে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়। হাতিটানা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে হাতিটানা নদী থেকে মাছ লুটের ও জাল কেটে দিয়ে ক্ষতি করা হয়েছে বলে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চেয়ারম্যান বিমল সানাসহ অন্যদেরকে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেআইনীভাবে যদি তারা কিছু কওে অবশ্যই তাদেও বিরুদ্ধে শাস্মিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম