
ছবি-সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জ: নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নোয়াপাড়ার জামদানি পল্লীর পাইকারী হাট।
প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই হাটে বেচাকেনা। বেচা-বিক্রিও এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ ভাল। রোজার ঈদকে সামনে রেখে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত জামদানি শিল্পীরা (তাঁতিরা)।
বেশি কাপড় তৈরি করার টার্গেট নিয়ে এবার রাত জেগে কাপড় তৈরি করতেও দেখা গেছে। এখানকার লোকজন সেই আদিকাল থেকেই জামদানি তৈরি করে আসছে।
জানা যায়, তারাব, নোয়াপাড়া, কায়েতপাড়ার বড়ালু, রূপসী, কাজীপাড়া, খাদুন, মোগরাকুল, মৈকুলি, পবনকুল, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ভারগাঁও, বরাব, খিদিরপুর এবং আড়াইহাজার এলাকার প্রায় ৬০ হাজার লোক পরো বা প্রত্যভাবে এ জামদানি শিল্পের সাথে জড়িত।
এসব এলাকার তাঁতিরা নিজেরাই এসে এ জামদানির সাপ্তাহিক পাইকারী হাটে বেচাকেনা করে থাকেন। পাইকাররা এই হাট থেকেই শাড়ি কিনে সারা দেশে সরবরাহ করে থাকে।
রফতানিকারকরাও এখান থেকে শাড়ি কিনে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, লণ্ডনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করে থাকেন। পৃথিবী জুড়ে নোয়াপাড়ার জামদানি শাড়ির প্রচুর চাহিদা এবং সুনাম রয়েছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে জামদানির হাটে গিয়ে দেখা গেছে, খুব সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে খরিদ্দার আসতে শুরু করে এ হাটে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এ হাটে পাইকারী শাড়ি বিক্রি বেশি হলেও এবার রোজার ঈদকে সামনে রেখে পাইকারদের সাথে পাল্লা দিয়ে খুচরা ক্রেতাদের সংখ্যাও ছিল লক্ষণীয়। এছাড়া ঢাকার অভিজাত এলাকার মার্কেটের বিপণি বিতানের মহাজন থেকে শুরু করে কর্মচারীরাও এখানে শাড়ি কিনতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
ডেমরা কোনাপাড়া এলাকার কলেজ অধ্য হারুনুর রশিদের স্ত্রী বায়না ধরেছে এবার নোয়াপাড়া হাট থেকে নিজে গিয়ে শাড়ি কিনবে। স্ত্রীর আবদার রাখতে গিয়ে শাড়ি কিনতে এলে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, জামদানি শাড়ি এত সহজলভ্য আগে ভাবা যেত না। আগে মনে করতাম জামদানি মানেই অনেক টাকার প্রয়োজন। কারণ অভিজাত মার্কেটে দোকানগুলোতে প্রচুর দাম হাঁকায় দোকানীরা। কিন্তু এ হাটে এসে খুব সহজেই একটি শাড়ি কিনেছেন।
শাড়ি তৈরির কারিগর বড়ালু এলাকার মো. সেলিম মিয়া বলেন, এ সপ্তাহে আমি একটা শাড়ি বুনেছি। শাড়িটি বিক্রয় করেছি ৫ হাজার ৫ শ’ টাকা। লাভও ভাল হয়েছে। ঈদের আগে আরও কমপে ২টি শাড়ি বুনতে পারব।
বহুমাত্রিক.কম