ঢাকা : সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। খবর বাসস’র
এ হত্যা মামলার এক আসামীর ক্রোকাদেশ এখনও তামিল না হওয়ায় এ বিষ্ফোরক মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
এ কারণে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আতাবউল্লাহ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ২৫ সেপ্টেম্বর। পাশাপাশি তিনি ক্রোকাদেশ তামিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ আসামী কারাগারে রয়েছে। জামিনে আছেন ৮ জন। এছাড়া বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১০ জন পলাতক রয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা জজ আতাবউল্লাহ বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ আসামীর মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন। এর মাঝে ৯ জনের ক্রোকাদেশ তামিল হয়েছে।
মঙ্গলবার মামলার নির্ধারিত তারিখের মধ্যে মুফতি মহিবুর রহমানের ক্রোকাদেশ তামিলের তথ্য আদালতে আসলেও মুফতি আব্দুল হকের ক্রোকাদেশ তামিল হয়নি বলে জানা যায়।
হবিগঞ্জের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী এএসএম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত বিষ্ফোরক মামলায় আগামী তারিখের মধ্যে মুফতি আব্দুল হকের ক্রোকাদেশ তামিলের তথ্য আসলেই মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হবে। তখন মামলাটি বিচারের জন্য সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হবে।
মঙ্গলবার মামলার প্রথম অভিযোগপত্রে জামিনে থাকা ৮ আসামী উপস্থিত থাকলেও জেলে থাকা আসামীদের আনা হয়নি।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।