ছবি- বহুমাত্রিক.কম
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে বসেছে গবাদি পশুর হাট। চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে উপজেলার গোপীনাথপুর হাটে লকডাউনের ৫ম দিনে গরুর হাট না বসলেও বসেছে ছাগলের হাট।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, কঠোর লকডাউনের ৫ম দিনে ছাগলের হাট বসিয়ে কেনা-বেচা চলছে দেদারছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জটলা ছিলো চোখে পড়ার মতো। হাটের পশ্চিমাংশে বসেছে চা-পানের দোকান। সেখানে বসে অনেকে চা ও ধূমপান করছে অনেকে। পাশের্^ই কাঁচাবাজার মাছের বাজারেও দেখো গেছে প্রচুর লোক সমাগম। আরো দেখা গেছে, অনেকের মাস্ক থাকলেও সেটা ঢাকতে পারেনি নাক-মুখ।
ছাগল কিনতে আসা এমদাদুল হোসেন বলেন, ‘হাটে ছাগল কিনতে আসছিলাম কিন্তুুু বাজারে ছাগলে দাম অনেক চড়া। তাছাড়া হাটে ক্রেতার সংখ্যাও বেশি। মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও তা গলায় রাখছে’। গোপিনাথপুর হাটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, ‘আমরা বিক্রেতাদের নিষেধ করা সত্বেও অভাব অনটনে আর সামনে ঈদের অজুহাতে তাদের গবাদি পশু নিয়ে হাটে আসছেন’।
গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জোয়ারদার বলেন, ‘চলমান কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে কিছু মানুষ চুপিসারে হাটে আসছেন ঠিকই। তবে হাটে আমাদের গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে। ছাগলের হাট বসলে প্রশাসন তা ভেঙ্গে দেয়’।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন সরকার বলেন, ‘দেশের চলমান এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষদের সংক্রমন বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় গবাদি পশুর হাট বসে তবে করোনা সংক্রমণের আশংকা অনেকাংশেই বেড়ে যাবে’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা কিছুটা কম। তারা পশুর হাট বসানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষনাৎ অভিযান পরিচালনা করে হাটটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হাটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।
বহুমাত্রিক.কম