ফাইল ছবি
ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রতিদিন বিদ্যুতের অস্বাভাবিক ৩ শতাধিক মেগাওয়াট লোডশেডিং এর কবলে পড়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শহর এলাকার গ্রাহকদের কিছুটা বেশি বিদ্যুৎ দেওয়া হলেও পল্লী অঞ্চলের মানুষরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
লোডশেডিং এর মাত্রা পল্লী অঞ্চলে ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাহকরা তীব্র গরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, সারাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় অনুপাতিক হারে ময়মনসিংহেও লোডশেডিং হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ' এমদাদুল হক জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় সারা দেশের মতো ময়মনসিংহ লোডশেডিংয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। পল্লী অঞ্চলে লোডশেডিং এর মাত্রা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র গরমে মানুষ অতিষ্ঠ পড়েছে। গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় শম্ভুগঞ্জ রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) থেকে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও গতকাল সেখান থেকে মাত্র ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। জামালপুরে ইউনাইটেড এর দুটি পাওয়ার প্লান্টে 315 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও সেখান থেকে গতকাল পাওয়া যায় মাত্র ১৩০ মেগাওয়াট। এছাড়াও সুতিয়াখালীতে সোলার পাওয়ার প্লান্টে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও সেখান থেকে দিনের বেলায় ২৫ মেগাওয়া বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
বুধবার পিক আওয়ারে তথ্য মতে ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১৩৫০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে এক হাজার ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায়। তাতে তিন শতাধিক মেগাওয়াট লোডশেডিং দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম জানান, ময়মনসিংহের জুনের অধীনে দশটি জেলার মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর শেরপুর ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা সহ ৪টি জেলা, টাঙ্গাইল জেলার ৫টি উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলার ২টি। উপজেলা, কুড়িগ্রাম জেলার ২টি উপজেলা এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী, গাইবান্ধার সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজিপুর উপজেলার আংশিক এলাকায় পিক চাহিদা এক হাজার মেগাওয়াট তার বিপরীতে কি করে ৭০০ মেগাওয়াটের মত বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। প্রতিদিন ৩০০ মেগাওয়াট করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।
ফুলপুর পল্লী বিদ্যুৎ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, ওই অঞ্চলে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে মাত্র ছয় মেগাওয়াট। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় মধ্যে মাত্র ১৫-১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ দেয়া যাচ্ছে। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের অন্যান্য এলাকাতেও ১৪-১৫ ঘন্টার বেশি প্রতিদিন বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে না।