
ফাইল ছবি
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এবার ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৭৯৭ কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে।
কারিগরি ও মাদরাসা বোর্ডসহ দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডে- ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, সবচেয়ে কম পরীক্ষার্থী বরিশাল বোর্ডে- ৬১ হাজার ২৫ জন।
চলতি বছর পুন:বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও এবার সব বিষয়, পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এরইমধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে উত্তরপত্রসহ আনুসঙ্গিক সরঞ্জামাদি। পরিষ্কারর-পরিচ্ছন্নতা শেষে বসানো হয়েছে সিট নম্বর। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীও। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, পরীক্ষা গ্রহণের শতভাগ প্রস্ততি শেষ হয়েছে।
আবারো করোনার চোখ রাঙানিতে দেশ। তাই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ৩ ফুট দূরত্বে বসানো, মাস্ক ব্যবহার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ ৩৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর বলেন, ‘বোর্ডগুলোর প্রস্ততিতে কোনো ঘাটতি নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশ্নপত্রসহ পরীক্ষার বিভিন্ন সামগ্রীর নিরাপত্তায় বাড়তি সর্তকতা নেয়া হয়েছে।’
এছাড়া প্রশ্নপত্রফাসেঁর কোনো সুযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি সভাপতি।
পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
* পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা;
* ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ;
* উত্তরপত্র ভাঁজ না করা;
* মোবাইল ফোন কেন্দ্রের ভেতরে আনা যাবে না;
* বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল অংশের মধ্যে কোনো বিরতি না রেখে পরীক্ষা পরিচালিত হবে;
* ব্যবহারিকসহ সব অংশেই পৃথকভাবে পাস করতে হবে;
* পরীক্ষার্থী শুধু প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে; এবং কেউ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ ছাড়া উপস্থিতি পত্রে সই করা বাধ্যতামূলক।
এদিকে পরীক্ষার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।