ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবি নজরুল সরকারি কলেজের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক সংগঠন কবিয়াল সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে বাংলা বিভাগে উদযাপিত হয়েছে সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মোৎসব।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কবিয়াল সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে বাংলা বিভাগের শ্রেণিকক্ষে উদযাপিত হয় এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান মনিরের কণ্ঠে নজরুলের সঙ্গীত "দূর আজারের মধুর ধ্বনি" পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে।
নজরুল জন্মোৎসবে নাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবিয়াল সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক আবদুন নুর। অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মুহিন খান নজরুলকে নিয়ে স্বরচিত একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর সৃষ্টি 'বিদ্রোহী' কবিতাটি আবৃত্তি করেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ বাঁধন শাখার সভাপতি মো. সাইফুল আছরার। এছাড়া ,বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা সরকার নজরুলের প্রথম স্ত্রী নার্গিসকে লেখা প্রথম ও শেষ চিঠি উপর আলোচনা করেন।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম মোহাম্মদ নাজমুল হুদা অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে আরও কবি নজরুল সরকারি কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী প্রীতি বিশ্বাস ও নাইমুর ইসলাম সোয়াদ নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনুষ্ঠানে। এছাড়াও, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুজিত কুমার দাস তার দল নিয়ে "ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ" গানটি পরিবেশন করেন ।
বাংলা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মাহমুদা আখতার নজরুলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শুধু মুখে মুখে নজরুলকে ভালোবেসে লাভ কি? যদি আমরা তার দর্শন, জীবনচিন্তা ও দেখানো পথ অনুসরণ না করি। তাই আমি সকলের প্রতি আমার অনুরোধ নজরুলকে অধ্যয়ন করো, তাকে জানো, এবং তার দেখানো পথ অনুসরণ করে সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠো। তিনি আরও বলেন, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান, জৈন বা পার্সি নয় মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি।
কবিয়াল সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক আবদুন নুর নজরুলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, কবি কাজী নজরুল তার সৃষ্টির মাধ্যমেই আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। বহু বছর পেরিয়ে গেলেও নজরুল আমাদের হৃদয়ে আজও জীবন্ত, তার সাহিত্য আমাদের আজও আনন্দ দান করে।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে কবি নজরুল সরকারি কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রীতি বিশ্বাসের কণ্ঠে পরিবেশিত নজরুল সঙ্গীতের সঙ্গে তন্ময় কুমার তনুর নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষে হয়।
