ছবি: বহুমাত্রিক.কম
সুনামগঞ্জ : ছাতকের মারাত্মক ভাঙ্গন কবলিত নোয়ারাই-বালউরা-বাংলাবাজার-বাশঁতলা সড়কটি দু’যূগেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
১৯৯১সালে এটি পাকাকরণের পর আর কোন মেরামত বা সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁবিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে এসড়কটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের উপর জমে হাটু পানি। ফলে পাঁেয় হেঁেট এমনকি গাড়িতে চলাচল করা চরম দূর্ভোগের কারন হয়ে উঠে।
এ অবস্থার পরিত্রাণ চেয়ে বিভিন্নমহলে ধর্না দিচ্ছেন এলাকাবাসী। কিন্তু এলাকাবাসীর কাছে এ দূর্ভোগ থেকে উত্তরনের যেন কোন পথ খোলা নেই। ছাতকের নোয়ারাই থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার হয়ে সীমান্তবর্তী মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিসৌধ বাঁশতলা পর্যন্ত সড়কে ২০০৮সালে সংস্কারের কথা থাকলেও দীর্ঘ ৮ বছরেও সংস্কার ও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
১৯৯১ সালে দোয়ারাবাজারবাসীর যাতায়াতের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দুঃখ-দূর্দশা লাঘব করতে সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন নোয়ারাই হতে বাংলাবাজার ও পরে বাঁশতলা সড়তটি পাকার কাজ সম্পন্ন করেন।
এটি দোয়ারাবাজার সদর, নরসিংপুর, বাংলাবাজার, বগুলা, বৃহত্তর লক্ষীপুরও ছাতকের নোয়ারাইসহ বিভিন্ন ইউনিয়নবাসীর যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। সড়কের মধ্যে বড় বড় গর্ত এখন যেন একেকটি মরন ফাদে পরিনত হয়েছে। ফলে নোয়ারাই হতে বাংলাবাজার পৌছতে সিএনজি-অটোরিক্সা যোগে ১৫/২০মিনিটের রাস্তায় লাগে আড়াই থেকে ৩ঘন্টা। ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৪গুন বেশী।
এলাকাবাসী বসবাসরত সাধারণ জনগন, সিএনজি বা টেম্পু চালকসহ এলাকাবাসীর দাবি হচ্ছে, জনস্বার্থে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মারাত্মক ভাঙ্গন কবলিত এ রাস্তার সংস্কার ও মেরামত কাজে এগিয়ে আসবেন। এ দাবিই এখন এলাকার বৃহত্তর জনগোষ্টির।
বহুমাত্রিক.কম