ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ বাকযুদ্ধের পর অবশেষে মুখোমুখি বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, বহুল প্রতীক্ষিত এই বৈঠক শুক্রবার ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত হবে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, মামদানিকে তিনি নিজেই বৈঠকের অনুরোধ করেছেন। পরে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
মামদানির মুখপাত্র ডোরা পেকেক জানান, নবনির্বাচিত মেয়রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ একটি প্রচলিত রীতি। তিনি বলেন, নির্বাচিত মেয়র ট্রাম্পের সঙ্গে শহরের জননিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প মামদানিকে আক্রমণের লক্ষ্য বানিয়ে রেখেছেন। তিনি তাকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। দাবি করেছেন, এই ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট নির্বাচিত হলে নিউইয়র্ক ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়া উগান্ডায় জন্ম নেওয়া মার্কিন নাগরিক মামদানিকে দেশ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করার কথাও বলেন।
তবে নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়া, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া ও নিউইয়র্কে রিপাবলিকানদের ভরাডুবির পর ট্রাম্পের বক্তব্যে বদল এসেছে। তিনি এখন বেশি করে অ্যাফোর্ডেবিলিটি বা জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে কথা বলছেন। যা ডেমোক্র্যাটদের প্রচারণার মূল বিষয় ছিল। গত সপ্তাহে তিনি লিখেছেন, রিপাবলিকানরা এখন পার্টি অব অ্যাফোর্ডেবিলিটি। একই সময়ে তিনি দাবি করছেন অর্থনীতি ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী।
গত রোববার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং সমাধান খুঁজে বের করবেন। সোমবার মামদানি জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং তার টিম হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।
৩৪ বছর বয়সী মামদানি কয়েক মাস আগেও কুইন্সের এক অপরিচিত রাজ্য আইনপ্রণেতা ছিলেন। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরের মেয়র। বিজয় ভাষণে তিনি বলেন, নিউইয়র্ক যেন সারা দেশকে দেখাতে পারে কীভাবে প্রেসিডেন্টকে মোকাবিলা করতে হয়।
জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি শহরকে ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করার কথাও বলেছেন। তবে নিউইয়র্কবাসীর স্বার্থে প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও কাজ করতে তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।




