ছবি-লেখক
রাজশাহী ঘুরে এসে: বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী পদ্মা। লিপিবদ্ধ তথ্য অনুযায়ী, এর দৈর্ঘ্য ৩৬৬ কিলোমিটার। এককালের প্রমত্তা এই নদীর তীরবর্তী জনপদ রাজশাহীতে আমার জন্ম।
এ নদী দেশের বিপুল জনগোষ্ঠির জীবন-জীবিকার বাহন হয়ে, বর্ষায় প্লাবিত করে কখনো বা অভিশাপ হয়ে, কখনো আবার বয়ে আনা পলিমাটিতে চারপাশ শস্য-শ্যামলে পরিপূর্ণ করে বহুমানুষের আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিয়েছে।
পদ্মার বহুকালের এই চিরায়ত রূপ বিগত কয়েক দশকে বহুলাাংশে পাল্টে গেছে। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে চিরচেনা সৌন্দর্য-প্রবাহ হারিয়েছে প্রমত্তা পদ্মা। নদীর সাহচর্যে থাকা হাজারো মৎস্য ও প্রাণবৈচিত্র্য হয়েছে বিপন্ন। এতে কপাল পুড়ে এই নদীকে ঘিরে জীবন-জীবিকার সংস্থান করা মানুষদের।
শৈশব-কৈশোর ও যৌবনের দিনগুলোতে প্রিয় পদ্মার জৌলুস দেখে আসা চোখগুলো বর্তমানে বিপন্ন নদীতীরে দাঁড়িয়ে খোঁজে ফিরে মধুর সেই স্মৃতিগুলো।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে গিয়ে দেখা মিললো ভাঙ্গনকবলিত ছিন্নমূল মানুষদের জীবনসংগ্রামের বেদনাদায়ক চিত্র। ক্ষিণ হয়ে আসা পদ্মার প্রবাহে নদীর বিশাল গর্ভে জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চলে চোখে পড়ল সবুজের সমারোহ, ফসলের আবাদ।
সেখানেই সংগ্রামী মানুষদের বেঁচে থাকবার চেষ্টা। এ যেন প্রকৃতির ভাঙ্গা গড়ার চিরায়াত খেলা। শৈশবে দেখা কূলে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউয়ের দেখা না পেলেও প্রকৃতির অবধারিত পরিবর্তনের কাছে নিজেকে সমর্পন করে ফিরে এলাম সেই যান্ত্রিক নিরস নগরে।
লেখক
বহুমাত্রিক.কম