![লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতে ‘নো নেতাজি নো ভোট’ প্রচারাভিযান তুঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতে ‘নো নেতাজি নো ভোট’ প্রচারাভিযান তুঙ্গে](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/Netaji-2403261507.jpg)
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ফাইল ছবি
জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতের সকল রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কিত ৬টি প্রস্তাব সংযোজনের দাবি জানিয়েছে দেশটির অরাজনৈতিক সংগঠন ‘নেতাজী চেতনা মঞ্চ।’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলসমূহের কাছে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রস্তাবগুলো সংযোজন এবং পরবর্তীতে প্রতিপালনে অঙ্গীকারের দাবি জানান মঞ্চের প্রধান বিশিষ্ট নেতাজী বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতাভিত্তিক সংবাদপত্র আলিপুর বার্তার সম্পাদক ড. জয়ন্ত চৌধুরী।
মঞ্চ ঘোষিত প্রস্তাবসমূহ হচ্ছে-
০১. প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি দিনটি জাতীয় ছুটি দিবস হিসেবে ঘোষণা, যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশজুড়ে এবং বিদেশের মিশনসমূহে পালন।
২. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ ফৌজের শহিদদের যথাযথ মূল্যায়ন ও ন্যায় বিচারের প্রচেষ্টা এবং একাডেমিক পাঠ্যক্রমে গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা।
৩. বিচারপতি মনোজকুমার মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞদের দ্বারা সম্পন্ন করা। এই কমিশনের তদন্তে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানের তাইহুকুতে কোন বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি এবং তাতে নেতাজির মৃত্যুও ঘটেনি। সুতরাং সকল সরকারি প্রচার মাধ্যমে নেতাজির তথাকথিত মৃত্যু সংক্রান্ত অপতথ্য অপসারণ করা।
৪. প্রকাশ্যে আসা একাধিক গোপন ফাইলের তথ্য অনুসারে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তথাকথিত স্ত্রী এমিলি শেঙ্কল ও কন্যা এনিটা পাফের মিথ্য বানোয়াট তথ্য আইনসম্মত নয়। সরকারি সকল স্তরে এ সংক্রান্ত অপতথ্য স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা।
৫. নেতাজি সংক্রান্ত সকল অপ্রকাশিত সত্য সর্বসমক্ষে আনতে নেতাজির সকল গোপনীয় ফাইল প্রকাশ করা।
৬. নেতাজির নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের আইএনএ স্মৃতিস্তম্ভের প্রতিলিপি জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন এবং প্রতি বছর ২১ অক্টোবর দিনটিকে ‘আইএনএ দিবস’ হিসবে জাতীয় পর্যায়ে পালন করা।
জানা গেছে, নেতাজি চেতনা মঞ্চের প্রধান ড. জয়ন্ত চৌধুরী ইতিমধ্যেই এই দাবিসমূহের স্বপক্ষে যৌক্তিক অবস্থান তুলে ধরে ভারতজুড়ে প্রচারাভিযান শুরু করেছেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে অনলাইন-অফলাইনে ‘নো নেতাজি নো ভোট’ হ্যাশট্যাগ (#NONETAJINOVOTE) ক্যাম্পেইন শুরু করেছে সংগঠনটি। সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ড. জয়ন্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে এই প্রচারাভিযানে বিপুল সংখ্যক তরুণরা অংশ নিচ্ছেন।