
ছবি- সংগৃহীত
মৌলভীবাজার : আকস্মিকভাবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ কয়েখটি স্থানে গ্যাস পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার রাত থেকে ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। ৬০ টাকার ভাড়ায় ১শ’ টাকা, ২০ টাকার ভাড়ায় ৪০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন। তবে বাড়তি ভাড়া গুণতে না পারায় চার, পাঁচ কিলোমিটারের রাস্তায় অনেকেই হেঁটে চলা শুরু করেছেন।
যাত্রীদের অভিযোগে কমলগঞ্জের দু’টি সিএনজি-অটো স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজারে ৬০ টাকার ভাড়ার স্থলে যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কেও বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। রোববার রাতে শমশেরনগর থেকে ৬ কিলোমিটারের রাস্তায় শহীদনগর বাজারে ২০ টাকার ভাড়ার পরিবর্তে ৪০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। শমশেরনগর থেকে পীরেরবাজারে ২০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের সাথে সিএনজি-অটো চালকদের বাক-বিত-া লেগেই আছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তবে সিএনজি-অটো চালকরা গ্যাস পাম্প বন্ধ থাকায় পেট্রোল দিয়ে গাড়ি চালাতে বাড়তি টাকা নিতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন।
স্কুল শিক্ষক ইসমতআরা, ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, অমৃত রবিদাস ও কলেজ ছাত্রী নাফিসা সুলতানা বলেন, হঠ্যাৎ করে পূর্ব কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিএনজি-অটো চালকরা ইচ্ছেমতো দ্বিগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে হাটবাজার, স্কুল-কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এতো ভাড়ার প্রস্তুতিও নেই। অথচ গাড়ী চালকরা পূর্ব কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ার কারণে যাত্রীরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
ফারুক মিয়া, আলমগীর হোসেন বলেন, বাড়তি ভাড়া দিতে না পেরে আমরা অনেকেই চার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বাজারে আসতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ছাত্রথছাত্রী ও দরিদ্র পরিবার সদস্যদের যারপর নেই কষ্ট ভোগ করতে হবে।
শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সিএনজি-অটো চালক সমিতির সভাপতি সিরাজ মিয়াসহ কয়েকজন চালক বলেন, গতকাল গ্যাস পাম্প বন্ধ ছিল। অনেকেই পেট্রোল দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে বাড়তি ভাড়া নিয়েছে। এছাড়া তাদের কোন উপায় ছিল না। তাছাড়া গ্যাস না থাকায় অনেকেই গাড়িও বন্ধ রেখেছে। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাড়া আদায় করার জন্য চালকদের বলা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ ইউএনও সিফাত উদ্দীন বলেন, চাহিদার বেশি গ্যাস ব্যবহার করায় জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানী গ্যাস পাম্প বন্ধ রেখেছিল। তবে যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
বহুমাত্রিক.কম