ছবি : বহুমাত্রিক.কম
বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকান মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। আর এ অনিয়মের প্রতিবাদে প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক মহল ও জনসাধারণ। শুধু তাই নয়, এনিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ও দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দারুল আরকান নামে একটি ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশণকে নির্দেশনা প্রদান করে।
এতে বলা হয় যেসব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই সেসব জনবসতি পুর্ণ এলাকায় মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। অথচ সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার মালীপাড়ায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে এই দারুল আরকান মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখাযায়, দারুল আরকান মাদরাসাটির জন্য সিলেকসনকৃত ভুমিটির ৪ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে একতেদায়ী মাদরাসা, দাখিল মাদরাসা, ছেলে মেয়েদের আলাদা আলাদা দুটি কওমি মাদরাসা, ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি হাইস্কুল ৩ টি প্রি-ক্যাডেট স্কুল। এরই মাঝখানে স্থাপিত হতে যাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকান মাদরাসা।
এসব অনিয়মের প্রতিবাদে প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে চলেছে ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ম্যনেজিং কমিটি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ ও স্থানীয় জনসাধারন। উল্লেখ্য ইতিপুর্বের এই প্রতিবাদ সমাবেশে বগুড়া জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল জায়দার, মাদলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল বারিক মন্ডল, সহ সভাপতি মোখলেছ জোয়ারদার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মতিউর রহমান জোয়ারদার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ, মাদলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মিন্টু মিয়া, ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হানজেলা এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন।
অনিয়মের প্রতিকার পেতে বগুড়া জেলা প্রশাসক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি ও শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমনিতেই ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছেনা। তারপর আবার এতোগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে নতুন করে আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলে মুখ থুবড়ে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বিফলে যাবে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অপরদিকে শাজাহানপুর উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় সেখানকার জনসাধারন ভুমি দিয়ে এই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ করলেও বিষয়টি আমলে নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে বগুড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডির নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এদিকে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাঝে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আরেকটি দারুল আরকান মাদরাসা প্রতিষ্ঠার কারন জানতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহিী কর্মকর্তা মোছাঃ ফুয়ারা খাতুন বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম