ছবি : বহুমাত্রিক.কম
সাভার : আশুলিয়ায় জমি দখল করতে প্রতিপক্ষের লোকজন দোকানপাট ভাংচুর ও গোডাউনে থাকা মালামাল লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী এবং আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভোক্তভোগীরা।
আশুলিয়ার আমতলা বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে ৩১ জুলাই সকালে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে দুই জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহতরা হলো- আশুলিয়ার গণকপাড়া এলাকার মৃত. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মতিউর রহমান এবং তার ভাই সুরুজ মিয়া। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জবরদখলের চেষ্টার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় গত ২৮ জুলাই (২০১৮) একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ২১৪২) করা হয়।
সাধারণ ডায়েরি করায় জসিম উদ্দিন গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে গেল ৩১ জুলাই সকালে ওই জমি দখলে নিতে লোকজন নিয়ে মতিউর রহমানদের তৈরীকৃত দোকানপাট ভাংচুর করে এবং গোডাউনে থাকা মালামাল লুট করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে মতিউর রহমান ও তার ভাই সুরুজ মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় ওইদিন আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (নং ২৩৬৬) করা হয়।
ভূক্তভোগী মতিউর রহমান জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আমাদের জমিতে আমরা জন্মের পর থেকে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় গণকপাড়া মৌজায় আমতলা বাজারের উত্তর পাশের জমিতে দোকানপাট নির্মাণ করা হয় এবং সেখানে একটি মুদি মালামাল রাখা হয়েছিল। কিন্তু গেল ৩১ জুলাই জসিম উদ্দিনরা জমিটি তাদের দাবি করে প্রায় শতাধিক লোকজন নিয়ে দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে। এছাড়া ঘটনার পর আশুলিয়া থানায় একটি ডায়েরি করা হয়। এরপর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এছাড়া জসিমরা ওই এলাকার মৃত. জামাল বেপারীর ছেলে রহমত উল্লাহ ঝন্টু’র নির্মাণাধীন বিল্ডিং ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে দখলে নেয়। রহমত উল্লাহ ঝন্টু জানান, ২/৩ মাস আগে জসিমরা তাঁর নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিং ভাংচুর করে দখলে নেয়। সেদিন বৃষ্টির দিন ছিল। ১০/১২টি হাইসও মাইক্রোবাস ভর্তি করে প্রায় ২ শতাধিক লোকজন নিয়ে এসে বিল্ডিং ভাংচুর করে দখল করে। ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ শেখ জানান, ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম