কুড়িগ্রাম : ছেলে বউয়ের সাথে কথা কাটাকাটি করে বুধবার সত্তর বছরের আনোয়ারা বেগম ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। তার বাড়ি উপজেলার বাওয়াইর গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, ওই বৃদ্ধার সঙ্গে পরিবারের কেউই ভাল ব্যবহার করতো না।
নিজের পরিবারে “অযাচিত” ভেবেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন তিনি। শুধু আনোয়ারাই নন; রৌমারী উপজেলায় এমন ঘটনা এখন নিত্যদিনের সাথী। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা। বিশেষ করে যৌতুক, পারিবারিক কলহ, অবহেলা, প্রেম ও ঋণের কবলে পড়ে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। আবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আরও প্রায় ৩১ ব্যক্তি। সময় মত হাসপাতালে ভর্তি করায় তারা বেঁচে গেছেন।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মাহফুজার রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আত্মহত্যা প্রবণতা একটি মানসিক বিষয়। ক্ষুধা, দারিদ্রতা, বিবাহ বিচ্ছিন্নসহ অনেক বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। অন্যান্য উপজেলার থেকে রৌমারীতে এ প্রবণতাটা একটু বেশি। এনজিওগুলো এ বিষয়ে কাজ করলে হয়তো এ প্রবণতা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারতাম।
বহুমাত্রিক.কম