
ছবি: সংগৃহীত
যশোরে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কুমারী পূজা। এ বছর কুমারী হিসেবে মাগুরার নারানপুর এলাকার তাপস চক্রবর্তীর ৫ বছরের মেয়ে তম্রাসতি চক্রবর্তী পূজা করেছেন ভক্তরা।
হিন্দু ধর্ম মতে, কুমারী হচ্ছে শুদ্ধতার প্রতীক। দেবী দুর্গার আরেক নাম কুমারী। এ পূজার মাধ্যমে স্বয়ং মা দুর্গা মানুষের ভেতরে বিকশিত হন। তাই শঙ্খ, ঘণ্টা আর উলু ধ্বনির মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গা দেবীকে কুমারী রূপে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়।
যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ বলেন, কুমারী পূজার শাস্ত্রীয় ভিত্তি অত্যন্ত গভীর। পুরাণ অনুযায়ী, এক সময় শক্তিশালী অসুর কোলাসুর স্বর্গ ও মর্ত্যলোক দখল করে নেয়। তখন দেবতারা দেবী মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবী কুমারীরূপে পুনর্জন্ম নিয়ে কোলাসুরকে বধ করেন এবং ধরণীকে রক্ষা করেন। সেই থেকেই কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়। এ পূজা শুধু ভক্তির প্রকাশ নয়, এটি নারীশক্তির প্রতি সম্মানজ্ঞাপনও বটে।
এদিকে কুমারী তম্রাসতি চক্রবর্তীর মাধ্যমে দেবীকে আরধনা করতে পেরে খুশি রামকৃষ্ণ আশ্রমে আসা ভক্তরা।
অপর্ণা দেবনাথ নাম এক ভক্ত বলেন, 'কুমারী পূজায় কুমারী রূপে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। আমি প্রতিবছর কুমারী পূজায় আসি। এবারও সকাল সকাল এসেছি বাবা-মায়ের সঙ্গে।'
রুদ্র দেবনাথ নামে অপর একজন বলেন, 'হিন্দুশাস্ত্র মতে, কুমারী মেয়েদের মনে করা হয় সর্ববিদ্যাস্বরূপিণী। এই পূজার মধ্যে দিয়ে নারীদের সম্মান জানানো হয়। যশোরে রামকৃষ্ণ মিশনেই একমাত্র কুমারী পূজা হয়। তাই প্রতিবছর মেয়েকে নিয়ে এখানে আসি।’