ছবি- সংগৃহীত
বগুড়া: সুদীর্ঘ কাল আগে থেকেই শাড়ির সঙ্গে নারীর গভীর সম্পর্ক। তবে কালের বিবর্তনে শাড়ির রং, নকশা, পরিধানের স্টাইলে পরিবর্তন এলেও শাড়িতেই যেন নারীর সৈন্দর্য্য, আকর্ষনীয়তা ও আবেদন যেন এক অনন্য বৈচিত্রময়। যত পোষাকই নারীদেহে পরিধান করা হোকনা কেন শাড়ীতে বাঙ্গালী নারীর রুপের ঝলক সীমাহীন। তাই শাড়ী পরিহিতা নারীর প্রতি সকলেরই দৃষ্টি যেন আকর্ষনীয়। তাই যুগের পরিবর্তন হলেও শাড়ীতে এতটুকুও কমেনি রুপসজ্জার সৃজনশীলতা।
হারানো ঐতিহ্য ফিরে নিতে এবারের ঈদ কেনাকাটায় সহনশীল নারীদের পছন্দের পোশাক শাড়ি। নারীদের পাশাপশি আধুনিক তরুনীরাও এবারের ঈদে শাড়ী কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কেনাকাটা করতে ছুটে চলছেন এ মার্কেট থেকে ও মার্কেটে। দেখা যাচ্ছে বগুড়ার বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মল ও সড়কের পাশের শাড়ির দোকানগুলোতে নারীদের উপচে পড়া ভীড়। এমন পরিস্থিতি দেখে বাঙ্গালী নারীর জীবনে আবারও হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসুক এমন প্রত্যাশা করছেন অনেকে।
বগুড়া নিউ মার্কেটের দোকানীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা দেশি-বিদেশি শাড়ির সমারোহ নিয়ে বসেছেন। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে তরুণীরা ফ্যাশনের শাড়িই বেশি পছন্দ করছেন। আর মধ্য বয়সের নারীদের আগ্রহ দেশি শাড়িতেই।
শাড়ী ক্রেতা শামীমা খানম বলেন, উৎসবে আমি শাড়ি পড়তে পছন্দ করি। শাড়ী পড়লে তার রুপের মধ্যে আকর্ষনীয়তা ফুটে উঠে। দৃষ্টি কাড়ে সকলের। তাই শাড়িতেই আমার আত্মতৃপ্তি। এজন্য নিজের পাশাপাশি মা এবং শাশুড়ির জন্যও শাড়ি কিনেছি। আরেক শাড়ী ক্রেতা রেবেকা খাতুন জানান, সিল্ক ও জামদানি শাড়ী তার খুব পছন্দ। তাই তিনি শাড়ী পড়ে এবারের ঈদে আত্মীয়দের বাড়ীতে বেড়াতে যাবেন বলে জানান।
রানা প্লাজার শাড়ি বিক্রেতা ইসকান্দার বলেন, এবারের ঈদে শাড়ির দাম সবার হাতের নাগালে। জামদানি শাড়ি ২-৩ হাজার টাকা, ভারতীয় সিল্ক ৪-৫ হাজার টাকা, হাফ সিল্ক ১৩-১৫শ টাকা, তাঁতের শাড়ি ৮-৯ শ টাকায় বিক্রি করছি। ক্রেতাদের দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। কম লাভে বেচাকেনা করি বলেই দিন-রাত ভিড় লেগে থাকে।
বহুমাত্রিক.কম