কখনো রাষ্ট্রপ্রধান, কখনো সরকারপ্রধান এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচার, কটুক্তি। বিদেশের মাটিতে বসে চলছে রাষ্ট্রবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রও। যা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বেগ পেতে হচ্ছে।
তবে বর্তমানে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ফেসবুকের ন্যায় টিকটিকও তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য সরকারকে সরবরাহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে সরকারের চাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক।
রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ফেসবুক এখন কেবল ট্যাক্স আর ভ্যাট দেয় না। তারা নিজেরা এখন বলে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ৬৬ ভাগ তথ্য সরবরাহ করেছি। টিকটকও আমাদের কাছে তাদের তথ্য দিতে আগ্রহী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি প্রত্যেকটি সামাজিক মাধ্যম বাংলাদেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের কথা অনুযায়ী আমাদের জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী, আমাদের জনগণের নিরাপত্তা অনুযায়ী তারা তাদের সেবাগুলো দিবে।
ভবিষ্যতে কথা না শুনলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ার দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কাউকে বন্ধ করার চেষ্টা করিনি। বন্ধ করার ইচ্ছাও আমাদের নেই। কিন্তু যার জন্য আমাদের পুরো রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা তো চলতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি আমার মাথা ব্যথা আছে তাই বলে মাথা কেটে ফেলাটা সমাধান নয়। আমার ওষুধ খাওয়াটা সমাধান। কিন্তু ওষুধ খেয়েও যদি আমি সুস্থ থাকতে না পারি তবে আমার মাথা ব্যথা বন্ধ করার অন্য অ্যাকশনে যেতেই হবে।
সম্প্রতি ফেসবুকের মূলপ্রতিষ্ঠান মেটার সবশেষ ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ফেসবুকের কাছে ১ হাজার ১৭১টি অ্যাকাউন্টের বা ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়েছে সরকার। এজন্য সর্বমোট ৬৫৯টি অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। এরপ্রেক্ষিতে ৬৬ শতাংশ অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক। সরকারের চাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক।