ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেয়ার চলমান চুক্তি প্রক্রিয়া মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে আগের শুনানিতে আটর্নি জেনারেলের আশ্বাসের পরও প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার আশ্বাস দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে বুধবার শুনানিতে রিটকারী পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা সরাসরি জড়িত। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং সেনাপ্রধানও এই বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিদেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলে রাজস্ব বাড়বে না, বরং বিরাট অংশ বিদেশে চলে যাবে। আমরা চুক্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে রুল যথাযথ ঘোষণার আর্জি জানাচ্ছি।’
শুনানি শেষে আদালত আজ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই এনসিটি পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ২২-৩০ বছরের জন্য এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদ চলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে–এটি বিদেশি হাতে তুলে দিলে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকি তৈরি হবে।




