ফাইল ছবি
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী । কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল ও হিম শীতল বাতাসে উত্তরের এ জনপদে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃহস্পতিবার১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বুধবার ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার পমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ে ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকলেও সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে কুয়াশা কেটে গিয়ে ওঠে ঝলমলে রোদ।
জেলার বোদা উপজেলার বালাভীড় গ্রামের আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘আইজ রাতিত খুব ঠান্ডা লাগিছে। সকালের বাতাসখান খুপে ঠান্ডা। এই বার এলায় শীত চলে আইচ্ছে। এই বার বুজি খুবে ঠান্ডা লাগিবে। আইতত গাওত কেঁথা-কম্বল ঢাকা নিয়া ঘুমাবা হচে। সকালে সুইটার গায়ত দিবা নাগেছে।’
দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলায় ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সকালে চারপাশ ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। জেলার মাঠ-ঘাট, গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের রাস্তাঘাট সবকিছুই ঢেকে যায় সাদা কুয়াশার চাদরে। কুয়াশার কারণে সকালে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘পঞ্চগড় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। পঞ্চগড়ের আকাশে মেঘ কেটে গেছে, রাতে ঘন কুয়াশা পড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ কমে যেতে শুরু করেছে। দিনে রোদের কারণে কিছুটা উষ্ণতা বাড়ছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। এখন থেকে এ জেলায় দিনের তাপমাত্রাও দিন দিন কমতে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘চলতি নভেম্বর মাসের শেষ সময় থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এই এলাকায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর ডিসেম্বর মাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’




