ফাইল ছবি
এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে সাকিব আল হাসান। অনেকের চোখেই বাংলাদেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনই নিজের শেষ দেখছেন না সাকিব। ঘরের মাঠে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে তবেই বিদায় বলতে চান দেশের সাবেক অধিনায়ক। দেশের মানুষের স্বার্থে রাজনীতিও চালিয়ে যেতে চান এ সাকিব।
‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে রোববারের প্রকাশিত ভিডিওতে আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন সাকিব। এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ইংল্যান্ডের দুই সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটের মঈন আলী ও আদিল রশিদ এবং ফ্রিল্যান্সার ব্রডকাস্টার নুবাইদ হারুন। গত বছর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বাইরেই আছেন সাকিব। সে বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি এ দেশসেরা অলরাউন্ডারকে।
ভারতের বিপক্ষে সেবার দ্বিতীয় টেস্টের আগের দিন সাকিব জানান, দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। পরের মাসে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ইচ্ছা পোষণ করলেও, নিরপত্তার শঙ্কায় দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি। এছাড়া গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলার ইচ্ছার বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এখন সাকিব বলছেন, তিন সংস্করণেই দেশের মাটিতে একটি পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসরে যেতে চান তিনি।
পডকাস্টে ৩৮ বছর বয়সী সাকিব বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা হলো, বাংলাদেশে ফিরে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ মানে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে অবসরে যাওয়া। আমি এমন কিছুই ভাবছি। সব সংস্করণকেই একটি সিরিজে বিদায় বলতে চাই। সেটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হয়ে ওয়ানডে, টেস্ট হতে পারে আবার টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিও হতে পারে। যেভাবেই হোক, আমার সমস্যা নেই।’ দেশের সমর্থকদের কাছ থেকে সামনে থেকে বিদায় নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে সাকিব আরও বলেন, ‘সমর্থকদের বিদায় বলার বিষয় এটি। তারা সবসময় আমার পাশে ছিল। তাই দেশের মাটিতে তিন সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেই অধ্যায়টির ইতি টানতে চাই।’
রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি, ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অংশ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। হয়তো রাজনীতির অংশ এখনও বাকি আছে। এটি এমন কিছু, যা আমি বাংলাদেশের মানুষ ও মাগুরাবাসীর জন্য করতে চাই। এটি আমার ইচ্ছা ছিল, যা এখনও আছে। দেখা যাক, আল্লাহ আমাকে কোথায় নিয়ে যান।’




