
ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল হক শামীম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও কয়েকটি নাম সর্বস্ব অনলাইন পোর্টালে নিজের সম্পর্কে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ী আমিনুল হক শামীম। তিনি এসব অপপ্রচারকে ‘বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর, ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যায়িত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণেরও কথা জানিয়েছেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে একথা জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
প্রতিবাদপত্রে আমিনুল হক শামীম অভিযোগ করেন, ‘গত ২৭ মে (২০২৫) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ‘Mithu Press’ এবং ‘Joy Barta’ নামের দু’টি আইডি থেকে এবং গত ০৪ জুন (২০২৫) দৈনিক অন্যায়ের প্রতিবাদ নামক অনলাইন পত্রিকায় আমার সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। যা সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট।’
মিথ্যা সংবাদে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন,‘বিগত-২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ-আনন্দমোহন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আশরাফ আল রাফী শাওন খুনের ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা (নং-৪৮ তারিখ-১৪/৩/২০১৮, ধারা ৩০২ পেনাল কোড) রুজু হয়। এই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শেষে কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযোগপত্র (নং -৬০৪ তারিখ ২৯/০৬/২০১৮) আদালতে দাখিল করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ১ম-অতিরিক্ত-দায়রা জজ, জেলা-ও দায়রা জজ আদালত, ময়মনসিংহ এ বিচারাধীন আছে। এখানে উল্লেখ্য যে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার (মোঃ আমিনুল হক-শামীম)কোনরূপ কোন সম্পৃক্ততা ছিল না বিধায় এজাহার বা দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে নাম নেই। এমনকি আমার বিরুদ্ধে ১৬১-ধারার-কোন-জবানবন্দীও নেই; তথাপি গত-২৭ মে (২০২৫) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, ষড়যন্ত্রমূলক এবং মানহানিকর সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। বিচারাধীন বিষয়ে এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া এ সংবাদে উদ্দ্যেশ্যমূলক ভাবে পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস পরিলক্ষিত হয়েছে।’
শামীম বলেন, ‘গত ৪ জুন (২০২৫) দৈনিক- অন্যায়ের প্রতিবাদ নামক অনলাইন-পত্রিকায় সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, বিভ্রান্তিমূলক এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ দেখা যায়, জনৈক আতিকা ইসলাম সোহানা-আলোচ্য সংবাদটির রিপোর্টার। রিপোর্টটিতে ‘বিলাসবহুল হোটেল ও গোপন মালিকানা’ ‘অবৈধ অর্থায়নে বিলাস বহুল গাড়ীর বহর’, ‘ব্যাংক ঋণ কেলেংকারিঃ হাজার কোটি টাকা লুটপাট’, ‘ময়মনসিংহ স্টিল আর্চ প্রকল্পঃ ভূমি-অধিগ্রহণ কেলেংকারি’ এবং ‘প্রশাসনকে বশ করা ও বিচার এড়ানো’ শিরোনামে আমার সম্পর্কে মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ষড়যন্ত্র মূলক সংবাদ-পরিবেশিত হয়েছে।’
‘রিপোর্টটিতে পরিবেশিত সংবাদের সমর্থনে কোন-তথ্য উপাত্ত প্রদান করা হয়নি। এমনকি সংবাদের প্রাথমিক এবং আপাত সত্যতা নিরীক্ষার কোন প্রয়াসওপরিলক্ষিত হয়নি। সেইসঙ্গে রিপোর্টে উত্থাপিত অভিযোগ সমূহের বিপরীতে আমার কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। রিপোর্টটিতে সম্পূর্ণ অযাচিত এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার স্বস্ত্রীক ছবি প্রকাশ করা হয়। ছবিটি-বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে তোলা হয়। সংবাদে পরিবেশিত তথ্যের সত্যতা যাচাই ব্যাতিরেকে কিসের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে তা জানার নিমিত্তে দৈনিক অন্যায়ের প্রতিবাদ অনলাইন পত্রিকার অফিস বা তাদের যোগাযোগের ঠিকানা বহু চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। অনলাইন পত্রিকাটি তথ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধিতও নয়। স্পষ্টত এটি হেয়প্রতিপন্ন করা, তাঁর ব্যাক্তিগত, পারিবারিক এবং ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করা এবং তাঁর মানহানি-ঘটানোর অভিপ্রায়ে করা হয়েছে’-বলেন আমিনুল হক শামীম।
প্রতিবাদপত্রে আমিনুল হক শামীম অপপ্রচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছে।
আমিনুল হক শামীম সম্পর্কে
আমিনুল হক শামীম সী-পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেডের মালিক। তিনি এডিবি ও চায়না সিডিবি ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক। তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে তিনবার সিআইপি সম্মান অর্জন করেছেন। শামীম এফবিসিসিআই এর সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।