ফাইল ছবি
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। হামলার রোববার পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়ে জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনা ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর ট্রাম্প আরেকটি এক পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয় যে, শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। রোববার হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পেন্টাগন ব্রিফিংয়ে যোগ দেন মার্কিন প্রতিরক্ষা পিট হেগসেথ।
ব্রিফিংয়ের শুরুতেই তিনি বলেন, শনিবার রাতের হামলা পরিকল্পিতভাবে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘দুর্বল ও ধ্বংস’ করার জন্য চালানো হয়েছে। হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’ হয়েছে। তবে সামরিক বা বেসামরিক লোক হতাহত হয়নি।
হেগসেথ আরও বলেন, ‘বহু প্রেসিডেন্টই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে চূড়ান্ত আঘাত হানার স্বপ্ন দেখেছেন। কিন্তু ট্রাম্প ছাড়া কেউই তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি’। এই অভিযানকে সাহসী ও দুর্দান্ত বলেও আখ্যা দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কথা বলেন, তখন বিশ্বের তা শোনা উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কোনো দেশই এই ধরনের অভিযান চালাতে পারত না। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন।
তিনি বলেন, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে পরিচালিত অভিযানে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বি-২ বোমারু বিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার উড্ডয়ন করে। ১৮ ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে হামলা চালায় বিশেষ এই বিমান।
তবে ওয়াশিংটন পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’র দাবি করলেও ইরান বলছে, স্থাপনাগুলোতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার আগেই পরমাণু কেন্দ্র খালি করে ফেলা হয়েছিল।
