
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের ফরর্দোসহ ৩টি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহান। তিনি একে ‘অত্যন্ত সফল’ অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেন, ফরর্দো স্থাপনাটিতে ‘পূর্ণ ক্ষমতার’ বোমা বর্ষণ করা হয়েছে।
তবে ইরান জানিয়েছে হামলার আগেই ওইসব স্থাপনা থেকে তারা পারমাণবিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়েছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১০টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়) ট্রাম্প একটি টেলিভিশন ভাষণে হামলার বিস্তারিত তুলে ধরবেন। ওদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমও ফরর্দো স্থাপনাটিতে ‘শত্রু পক্ষের আক্রমণ’ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত মাত্রা সম্পর্কে এখনো কোনো বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
ফরর্দো হলো ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যেটি প্রায় ৮০ মিটার ভূগর্ভে অবস্থিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন এবং এর জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা ও বিশেষ ধরনের বিমান প্রয়োজন। এর আগে মার্কিন সামরিক সূত্র জানায়, গুয়াম দ্বীপে বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিমানই একমাত্র এমন বোমা বহনে সক্ষম, যা ফরর্দোর মতো শক্ত ঘাঁটিকে ধ্বংস করতে পারে। হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও কৌশল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তার আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতিরই বহিঃপ্রকাশ। হোয়াইট হাউস সূত্র বলছে, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা রুখতেই এই হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে কোনো পাল্টা হামলার ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব নেতারা ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।