ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদন নিয়ে পাল্টাপাল্টি মত দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বেগম জিয়ার আইনজীবীরা।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, সহযোগী আসামির চেয়ে প্রধান আসামিকে সাজা কম দেয়াটা আইনের ব্যত্যয়। অন্যদিকে, বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, সাজা বাড়ানোর আবেদন করার এখতিয়ারই নেই দুদকের। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার শুনানি হবে হাইকোর্টে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বেগম জিয়া। তারেক রহমানসহ অপর চারজনকে করা হয় সহযোগী আসামি। কিন্তু অপরাধ প্রমাণিত হলে বেগম জিয়াকে ৫ বছর এবং সহযোগী আসামিদের ১০ বছর করে করে কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
রায়ের এমন বৈপরীত্য দেখে বেগম জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। সাজা কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত। রোববার এ আবেদনটি শুনানির জন্য উচ্চ আদালতে উত্থাপন করে দুদক।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ও দুদক আইনজীবী বলছেন, প্রধান আসামিকে সাজা কম দেয়ায় আইনের কি কি ব্যত্যয় হয়েছে তা আদালতে তুলে ধরবেন তারা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, কেন সাজা বাড়ানো হবে না। কাজী সলিমুল হক তাকে সাজা দেয়া হয়েছে ১০ বছর। ৩ নম্বর আসামির সাজা ১০ বছর। আগামী ৩ জুলাই মামলার দিন ধার্য করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মূল আসামির কম সাজা হতে পারে না। কারণ তার হেফাজতেই ছিল টাকাটা। সেখান থেকে উধাও হয়ে গেছে।
বেগম জিয়ার আইনজীবীর দাবি, সাজা বৃদ্ধির আবেদন করার কোনো এখতিয়ার নেই দুদকের। খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার এবং দুদক সাজা বাড়ানোর রিভিশন করেছে দুদকের আইনে তা নেই।
আগামী ৩ জুলাই এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে শুনানি হবে। একই সঙ্গে ঐদিন খালাস চেয়ে বেগম জিয়া` সহ অপর দুই আসামির আপিল শুনানিরও দিন ধার্য রয়েছে।