ফাইল ছবি
চার বছর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেছেন বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি।
২০১৯ সালে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় বুয়েট ক্যাম্পাসে। গত ২৮ মার্চ গভীররাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে যান। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ক্যাম্পাসে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘন করে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম এ সমাগম ঘটান
এ ঘটনায় ২৯ মার্চ বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির স্থায়ী বহিষ্কার এবং হলের আসন বাতিল করা।পরে ওই দিন রাতেই রাব্বির সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী-সংগঠন বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের ফায়দা নিচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্রলীগও ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর বুয়েট ক্যম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিতের বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।