ছবি : প্রতিবেদক
ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ অব টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কুষক সমাবেশে মাদার ফিসারিজ অব টাঙ্গুয়ার হাওর টেকেরঘাট চুনপাথর খনি প্রকল্প ও বারেক টিলাকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার ব্যাপারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছিলো এমনকি সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
রোববার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরে পারিবারিক সফরে এসে একান্ত সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ থেকে সরাসরি তাহিরপুরের বালিজুরী পৌছে পরিকল্পনামন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে জাদুকাঁটার নৌপথে নৌকা সীমান্তনদী জাদুকাঁটা, বারেকটিলা, বৌলাই, পাটলাই, মাটিয়াইন, টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী দুপুরে দেশের প্রথম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি)’র নিয়ন্ত্রিত মেঘালয় সীমান্তঘেষা ট্যাকেরঘাট চুনপাথর খনি প্রকল্পে পৌছে প্রশাসন ও পরিবারিক সফরসঙ্গীদের নিয়ে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ৫নং সেক্টরের ৪নং সাব সেক্টরে ট্যাকেরঘাট প্রকল্পে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি ঘুরে ঘুরে বীর উওম শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী লেক) ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে ট্যাকেরঘাট অতিথি ভবনে আলাপচারিতায় বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে সরাসরি পর্যটনবাহী চারচাকার গাড়ি বারেকটিলা, ট্যাকেরঘাট ও টাঙ্গুয়ার হাওরে পৌছবে। এ লক্ষ্যে সীমান্তনদী জাদুকাটার উপর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে দৃষ্টিনন্দন একটি সেতু ও বালিয়াঘাট পুরাতন ডাম্পের বাজারের মধ্যবর্তী পাটলাই নদীর উপর আরো একটি সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
‘পর্যটক ভ্রমণ পিপাসুদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুর্ব প্রতিশ্রুত অনুযায়ী টাঙ্গুয়ার হাওরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশী বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকায় সরকারি জায়গা, বিভিন্ন স্থাপনা, খনি প্রকল্পের মুল্যবান যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এখানে পর্যটক বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ যেমন আবাসিক হোটেল,কটেজ,খাবার রেষ্টুরেন্ট তৈরী করা, শিশুদের বিনোদনের জন্য ট্যাকেরঘাট সহ বারেকটিলাতেও সব ধরণের অকাঠামোগত সুবিধা তৈরি করা হবে।’
এছাড়াও পরিকল্পনামন্ত্রী টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট, বারেকটিলা টিলাকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের বিকাশে বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী সীমান্ত সড়ক সম্পর্কে আরো বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ- নেত্রকোনা- ময়মনসিংহ সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি সীমান্তসড়কে সিলেট থেকে ময়মনসিংহ পর্য়ন্ত নদী খাল, পাহাড়ি ছড়ার ওপর কমপক্ষে অর্ধশতাধিক সেতু তৈরির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। সীমান্ত সড়ক বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্ত রয়েছে সেটিকে দুই লেনে উন্নীত করে ২৮ ফুট প্রশস্ত করা হবে।
বহুমাত্রিক.কম