Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

ভাদ্র ২৮ ১৪৩২, শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সৌদি ও আমিরাতে আরো সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রিন্ট:

সৌদি ও আমিরাতে আরো সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা :সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরো সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন জানিয়েছে, নিরাপত্তা জোরদারে দেশ দু’টিতে বাড়তি সেনা সদস্য এবং সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনায় এখনই ইরানের বিরুদ্ধে কোনও সামরিক ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এমন পরিস্থিতিতেই সৌদি আবর-আমিরাতে আরো সেনা মোতায়েনের উদ্যোগ নিয়েছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার জানিয়েছেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই দেশ দু’টিকে সহায়তার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দু’টির পক্ষ থেকে তাদের আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাড়তি সেনা সদস্য এবং সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের দখল নেয়া তার দেশের জন্য খুবই সহজ সিদ্ধান্ত।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমাদের রয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। আমি আগেও বলেছি, ইরানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা হবে খুবই সহজ একটি সিদ্ধান্ত।

এদিন ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন ওভাল অফিসে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি হচ্ছে ইরানের অর্থের সর্বশেষ উৎস। এটা খুব বড়। আমরা এখন ইরানের অর্থের সব উৎস বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি।

২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়।

 

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables