ফাইল ছবি
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পা রাখবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যকার বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি। সফরকালে তেল, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক কূটনীতির মতো বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, এমন সময় ভারত সফরে আসছেন পুতিন যখন রুশ তেল আমদানি নিয়ে নয়াদিল্লির ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক আলোচনায় ব্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে পুতিনের ভারত সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার টালমাটাল ভূরাজনীতির জন্যও পুতিনের এই সফর ভিন্ন পাঠ বহন করে বলে মনে করছেন তারা।
রাশিয়ার জন্য ভারত এখন অন্যতম আকর্ষণীয় বাজার। বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম তেল ভোক্তা দেশ ভারত। যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়ার তেলের অংশ ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে। রাশিয়ান তেলের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং মূল্যছাড়ের সুযোগে ভারত সরবরাহ বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্র এতে অসন্তুষ্ট। অক্টোবরে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলো রুশ তেল আমদানি কমিয়ে দেয়। পুতিন সফরে এ ক্রয় পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোভিয়েত যুগ থেকে রাশিয়ার প্রধান অস্ত্র ক্রেতা ভারত। পুতিনের সফরের আগে খবর এসেছে- রাশিয়ার উন্নত যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত। যদিও ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরক্ষা উৎস বৃদ্ধি করেছে। তবুও দেশের মূল সামরিক সরঞ্জাম- বিশেষ করে সু-৫৭ যুদ্ধবিমান ও এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়ান প্রযুক্তির ওপর নির্ভর নয়াদিল্লি। মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে এস-৪০০ এর ভূমিকা ভারতের নজর কাড়লেও একই সঙ্গে কিছু দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। ভারত এখন উন্নত এস-৫০০ সিস্টেম এবং সু-৫৭ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনায় আগ্রহী। তবে রাশিয়ায় নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধের প্রভাবে উপাদান সংকট দেখা দেওয়ায় এস-৪০০ সরবরাহ ২০২৬ পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে। মোদি এই বিষয়ে নিশ্চয়তা চাইবেন।




