ফাইল ছবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে যাচাই–বাছাই করে বেসরকারি ব্যাংক থেকেও কর্মকর্তা নিয়োগ দিতেও বলা হয়েছে।সম্প্রতি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে ইসির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের পাঠানো চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতকৃত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল হতে বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাদ দিয়ে প্যানেল প্রস্তুতের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তবে, ভোটগ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের জন্য নির্দেশ করা হলো।গত ২৩ নভেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ব্যাংক বা সমমনা প্রতিষ্ঠানের কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব না দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত দাবি জানায় বিএনপি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলটির নেতারা এই প্রস্তাব জমা দেন।
বিএনপির এই প্রস্তাবের তিনদিন পর ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব না দিতে বিএনপির আহ্বান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতির দেয়া উদ্দেশে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দেশের ৩০০ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং একই সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫-এর ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি কমিশনে দায়েরকৃত আপিল নিষ্পত্তির সময়কাল ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দের পরদিন অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে। প্রচারণা চলবে ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিলের তারিখ ১১ জানুযারি, আপিল শুনানি নিষ্পত্তির ১২ জানুযারি থেকে ১৮ জানুযারি; প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুযারি। প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুযারি, ভোটগ্রহণ ও গণভোট হবে ১২ ফ্রেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।




