ঢাকা : দুইশ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের প্রায় ছয় হাজার পণ্যের ওপর এই উচ্চ আদমানি শুল্কারোপ করা হচ্ছে। এটিই এখন পর্যন্ত চীনা পণ্যের ওপর সবচেয়ে বড় পরিমাণে শুল্কারোপ।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। প্রাথমিকভাবে চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে। কিন্তু উভয় দেশ কোনও সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে আগামী বছর থেকে চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনে তৈরি হ্যান্ডব্যাগ, চাল ও টেক্সটাইলের মতো পণ্যের ওপর নতুন এই শুল্ক কার্যকর হবে। তবে স্মার্ট ওয়াচ এবং হাইচেয়ারের মতো পণ্যকে নতুন এই শুল্কারোপ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের ‘অসম বাণিজ্যিক চর্চার’ কারণে তাদের ওপর এই সবশেষ শুল্কারোপ করা হলো। বাণিজ্যিক চর্চার ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন করতে হবে সে ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে সমানভাবে মূল্যায়ন করতে চীনকে আমরা সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চীন তার বাণিজ্যিক চর্চায় কোনও ধরনের পরিবর্তন আনতে অনীহা দেখিয়েছে।এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয় চীন।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি চীন পাল্টা জবাব দেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ‘তাৎক্ষণিক তৃতীয় ধাপের’ দিকে এগোবে। এর অর্থ হচ্ছে, চীনা পণ্যের ওপর আরও ২৬৭ বিলিয়ন ডলারের শুল্কারোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ওয়াশিংটন যদি ২৬৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে তাহলে কার্যত চীনের সব পণ্যকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে শুল্ক দিতে হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের ঘোষণায় মঙ্গলবার চীনের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব লক্ষ্য করা গেছে।