ফাইল ছবি
কুড়িগ্রামে গত তিনদিন ধরে সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি সামান্য কমে এখনও তা বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে, তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানিও হু-হু করে বাড়ছে। যেকোন মুহূর্তে এ দু'টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে স্থানীয় পাউবো জানিয়েছে।
শনিবার সকালে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি সামান্য কমে বিপৎসীমার ৪১ সে.মি ওপর দিয়ে ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। দুধকুমার নদীর অববাহিকায় স্থানীয় সড়ক ও ব্রিজ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৫টি গ্রাম।
সদরের পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, হলোখানা ও ভোগডাঙা ইউনিয়ন ৩ ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়ন ২ ইউনিয়ন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীরঝাড় ও নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ, বল্লভের খাস, নারায়ণপুর, নুনখাওয়া ও বামনডাঙা এ ৪ ইউনিয়নসহ ৯ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। ফলে এসব এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতির আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।
এদিকে, নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের মুরিয়া ও আনসার হাট এলাকায় একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে ৫টি গ্রামে পানি ঢুকে রাস্তাঘাট, দোকানপাট তলিয়ে গেছে। এসব বানভাসী মানুষ ঘরে বসবাস করতে না পারায় রান্নাবান্না করতে পারছেন না। বিশুদ্ধ পানি সংকটে রয়েছেন তারা।