যশোর: যশোরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি ও দোলযাত্রা উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার গৌরপূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান শেষে আবিরে-আনন্দে আলোচনাসভা, মঙ্গলশোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসব উদযাপিত হয়।
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ শাখার উদ্যোগে আলোচনাসভা, মঙ্গলশোভাযাত্রা ও আবির খেলা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবু তালেব মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর শৈলেশ কুমার রায়, সরকারি এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সুধীর রঞ্জন নাথ, সরকারি সিটি কলেজের সহকারী শিক্ষক অলোক বসু। বিশেষ আলোচক ছিলেন সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মাণিক রক্ষিত।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব হারুণ অর রশীদ ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি প্রণব দাস। সভাপতিত্ব করেন সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ এম এম কলেজ যশোর শাখার সভাপতি অভিজিৎ চক্রবর্তী। সঞ্চলনা করেন সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ এমএম কলেজ যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ মজুমদার।
আলোচনা শেষে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া। শোভাযাত্রাটি কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রঙের এ উৎসবে মেতে ওঠে সর্বস্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা। সনাতন বিদ্যার্থী সংসদসহ সাধারণ শিক্ষার্থী ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রঙয়ের ছটায় নিজের ভেতরের সকল কালোকে দূর করতে সামিল হয় দোল উৎসবে।
এদিন সকালে রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরের রঙে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগানসহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয় বিভিন্ন স্থানে। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রঙ খেলেন। দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত এ উৎসবে ভক্তরা সৃষ্টিকর্তার কাছে ন্যায়ের বিজয় ও অন্যায়ের বিনাশ প্রার্থনা করেন। যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, বেজপাড়া পূজা সমিতি মন্দির, পশ্চিমবারান্দী নাথ পাড়া সার্বজনীন মন্দিরসহ পাড়া মহল্লা¬ ও বাড়িতে বাড়িতে দোল পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন হয়।
দোল উৎসব মূলত ছোটদের কাছে বেশি রঙিন। তবে সব বয়সের নারী পুরুষই একে অপরকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দেন। কেননা মনের কালিমা মুছে স্বচ্ছতার রঙে রঙিন হবার দিন এটি। এদিন কম বয়সীরা বয়সে বড়দের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয়।
বহুমাত্রিক.কম