ঢাকা : ঘন চোখের পাতা দেখতে কার না ভাল লাগে। সুন্দর চোখের পাতা পাওয়ার শখ সকলেরই থাকে। ঘাটতি মেটাতে তাই মাস্কারার ব্যবহারও দারুণ জনপ্রিয়।
কিন্তু বাজার চলতি মাস্কারার মধ্যে থাকে সিন্থেটিক ওয়্যাক্স, কেয়োলিন, আয়রন অক্সাইড, প্রিজারভেটিভ ও পলিমার। এর মধ্যে বেশির ভাগ উপাদানই চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক। যা থেকে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে।
মাস্কারা বেশি দিন রেখে দিলে তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। তাই ডেট এক্সপায়ার করে যাওয়া মাস্কারা ব্যবহার করলে চোখে ইনফেকশন হতে পারে।
মাস্কারা দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে এর মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থের প্রভাবে আইল্যাশের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ট্রাইকোলজিতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, যারা নিয়মিত মাস্কারা ব্যবহার করেন তাদের চোখের পাতা পড়ে যাওয়ার মাত্রাও বেশি হয়। কারণ, মাস্কারা আইল্যাশের প্রটেকটিভ অয়েল শুষে নিয়ে শুষ্ক করে দিতে পারে।
যার ফলে আইল্যাশ ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে চোখে চুলকানি বা অস্বস্তি, চোখ থেকে জল পড়ার সমস্যা হয়।
তাই বাজার থেকে মাস্কারা না কিনে বাড়িতেই বানিয়ে নিন।
কী লাগবে
কালো মিনারেল পাউডার: ১ টেবল চামচ (কালো মাটি বা অ্যাকটিভেটেড চারকোলও ব্যবহার করা যেতে পারে)
বেনটোনাইট বা অন্য কসমেটিক ক্লে: ১ টেবল চামচ
মাস্কারা স্মাজ হতে দেয় না
ভেজিটেবল গ্লিসারিন: আধ টেবল চামচ
ল্যাশে বেশিক্ষণ মাস্কারা ধরে রাখতে সাহায্য করে
অ্যালয় ভেরা: আধ চা চামচ
আইল্যাশের কন্ডিশনিংয়ে সাহায্য করে
কী ভাবে বানাবেন
সব উপকরণ একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না ঘন হচ্ছে। স্প্যাটুলার সাহায্যে প্রথমে এই মিশ্রণ মেডিসিন ড্রপারে ভরুন। তারপর সেখান থেকে ধীরে ধীরে মাস্কারা কন্টেনারে ঢেলে নিন।
এই মাস্কারার সবচেয়ে ভাল দিক হল এতে প্রিজারভেটিভ থাকে না। গ্লিসারিন থাকার ফলে ইনফেকশনের ঝুঁকিও থাকে না। তবে একবার বানানো মাস্কারা তিন মাসের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।-সংগৃহীত