Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করছে সাইবার কেন্দ্র

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২২, ৭ জুন ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করছে সাইবার কেন্দ্র

ঢাকা: অপরাধ তদন্তে গতিশীলতা ও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ মামলাগুলোর তদন্ত কাজের দীর্ঘসূত্রীতা কমিয়ে আনতে দেশের প্রথম সাইবার তদন্ত কেন্দ্র বর্তমানে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদন্ত করছে।

সরকারি সূত্রমতে, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা, বনানী হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার মামলাসহ তদন্ত কেন্দ্রটি প্রায় হাজার খানেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার ফরেনসিক পরীক্ষা ও তদন্ত কাজ শেষ করেছে।

অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং সাইবার পুলিশ ব্যুরো প্রধান মো. জালাল উদ্দিন ফাহিম বলেন, ‘২০১৩ সালে সাইবার তদন্ত কেন্দ্রটি চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ১১২০ টি মামলার মধ্যে ৯৫০ টি মামলার ফরেনসিক পরীক্ষা ও তদন্ত কাজ শেষ করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংঘটিত ২৫ টি জঙ্গি সংক্রান্ত অপরাধের মামলাসহ সব গুরত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য মামলাগুলো আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।’

ফাহিম আরো বলেন, তদন্ত কেন্দ্রটি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের মত প্রায় ১ লাখেরও বেশী মামলার কাজ পরিচালনা করেছে। এরমধ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনেকগুলো মামলা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনে (বিটিআরসি) স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের ঢাকা মহানগরী উত্তরের পুলিশ সুপার রেজাউল হাওলাদার বাসসকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচনী অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে, রাজধানীতে দেশের প্রথম ’সাইবার অপরাধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ ও ’সাইবার অপরাধ তদন্ত কেন্দ্র’ স্থাপন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার তদন্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের অধীনে দুটি কেন্দ্র স্থাপনে খরচ হয়েছে মোট ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা এবং খরচের বাকী অংশ দিয়েছে ’কয়োকা’।

তদন্ত কেন্দ্রটি রাজধানীর অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদর দপ্তরে স্থাপন করা হয়েছে। আর সাইবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকের ট্রাফিক ও ড্রাইভিং স্কুলে। কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ যন্ত্রপাতিই ক্রয় করা হয়েছে কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তবে কিছু যন্ত্রপাতি জার্মানি থেকেও ক্রয় করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কম্পিউটার প্্েরাগ্রামার, দুইজন সহকারি পুলিশ সুপার ও তিনজন উপ-পরিদর্শকসহ মোট ছয়জন তদন্ত কর্মকর্তা কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।

প্রশিক্ষিত তদন্ত কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কোরিয়ার দু’জন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ বাকিদেরকে প্রশিক্ষণ দেবেন। বর্তমানে তারা বাংলাদেশের উপযোগী একটি সিলেবাস তৈরীর জন্য কাজ করছেন।

তদন্ত কেন্দ্রটিতে মোবাইল ফোন থেকে তথ্য উদ্ধার ও যাচাই করতে ‘মোবাইল ফরেনসিক’, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ থেকে তথ্য উদ্ধার ও যাচাই করতে ‘কম্পিউটার ফরেনসিক’ এবং হার্ডওয়্যার, সিসিটিভি (গোপন ক্যামেরা), পেন ড্রাইভ এবং অন্যান্য ডিভাইস থেকে তথ্য উদ্ধার ও যাচাই করতে ‘সিস্টেম ফরেনসিক’ নামে তিনটি বিভাগ রয়েছে।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer