Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কৃষ্ণগহ্বর কি ‘স্পেস ট্রাভেল’-এর প্রবেশদ্বার?

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৯ আগস্ট ২০১৬

আপডেট: ২২:১৩, ৯ আগস্ট ২০১৬

প্রিন্ট:

কৃষ্ণগহ্বর কি ‘স্পেস ট্রাভেল’-এর প্রবেশদ্বার?

ঢাকা: ব্রহ্মাণ্ডের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কোনও বস্তুকে পাঠানোর প্রবেশপথ (স্পেস ট্রাভেল) হতে পারে ব্ল্যাক হোল। সম্প্রতি, এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

বিজ্ঞানীদের মতে, ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর সংক্রান্ত গবেষণায় সবচেয়ে সমস্যার বিষয় হল যে, সেখানে পদার্থবিদ্যার কোনও নিয়মই কার্যকর নয়। ফলে, বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়, যে গহ্বরের অন্দরে কী হচ্ছে বা কী হতে পারে।

এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, একটি ক্ষুদ্র অঞ্চলে বিশাল পরিমাণ পদার্থ বা শক্তি সঞ্চিত রয়েছে। এরফলে, ‘গ্র্যাভিটেশনাল সিঙ্গুলারিটি’ বা মহাকর্ষীয় একতার সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, পদার্থের নিয়মানুসারে, দুটি বস্তু এক সময়ে এক জায়গায় থাকতে পারে না।

কিন্তু, কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই নিয়ম খাটে না। যার জেরে একাধিক বস্তু বা পদার্থ এক সময়ে এক জায়গা দখল করে থাকে। যার ফলে, পদার্থগুলির নিজস্ব চরিত্র হারিয়ে যায় আর তৈরি হয় ‘সিঙ্গুলারিটি’। ফলে, অচিরেই, কৃষ্ণগহ্বরের গভীরে ধ্বংস হয়ে যায় যে কোনও পদার্থ।

তবে নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এক নতুন তথ্য পেয়েছেন। স্পেনের ইনস্টিটিউট অফ কর্পাসক্যুলার ফিজিক্স-এর বিজ্ঞানীদের মতে, পদার্থগুলি হয়ত ধ্বংস হয় না। সম্ভবত তারা কৃষ্ণগহ্বরের মধ্য দিয়ে ব্রহ্মাণ্ডের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলে যায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘ওয়ার্মহোল’। কল্পবিজ্ঞান অনুযায়ী, এই ওয়ার্মহোলের মাধ্যমেই ‘টাইম ট্রাভেল’ বা অতীত বা ভবিষ্যতের কোনও সময়ে যাওয়া সম্ভব।

স্পেনের বিজ্ঞানীদের মতে, ব্ল্যাক হোল-এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ওয়ার্মহোল। তাঁরা জানান, কোনও কিছু যদি এই কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে প্রবেশ করে, তাহলে তা ভিতরে থাকা ওয়ার্মহোল মারফৎ ব্রহ্মাণ্ডের অন্য প্রান্তে বের হবে। কোনও যাত্রী যদি যান, তাহলে তিনি প্রচণ্ড চাপ অনুভব করতে পারেন।

কারণ, ওয়ার্মহোল অত্যন্ত ক্ষুদ্র ছিদ্র। সেখান দিয়ে পার করতে গেলে, যে কোনও পদার্থের আয়তন কমে যাবে। কিন্তু, বের হয়ে গেলে আবার পুরনো আকার ফিরে আসবে।

আনন্দবাজার পত্রিকা 

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer