ঢাকা : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সেন্টমর্টিনে আটকাপড়া পর্যটকরা সোমবার বিকেলে ফিরছেন। সংকেত উঠে যাওয়ায় সকালে এলসিটি কুতুবদিয়া ও কেয়ারীক্রুজ ডাইনিং যাত্রী ব্যতীত সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে টেকনাফে দমদমিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ফিরতি যাত্রী নিয়ে বিকেলেই টেকনাফে পৌঁছাবে জাহাজগুলো।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে স্থানীয় সতর্কতা সংকেত পড়লে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ- রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে গত ৮ অক্টোবর হতে সেন্টমার্টিনে প্রায় ১২শ` পর্যটক আটকা পড়ে। উদ্বেগ উৎকন্ঠায় ছিলো আটকা পড়া পর্যটকদের অনেকেই। তিন দিন পর সংকেত উঠে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আটকা পড়া পর্যটকদের ফেরাতে সকালে দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, আটকা পড়া পর্যকটকদের ফিরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে দুটি জাহাজ টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট ছেড়েছে। তিনদিন পর্যন্ত পর্যটকদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধায় দেখভাল করা হয়।
সেন্টমার্টিনের কিংশুক ইকো রিসোর্টের পরিচালক সরওয়ার কামাল জানান, তার হোটেলে প্রায় শতাধিক পর্যটক রয়েছে। তিনদিন ধরে তাদের থাকা খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি করা দেয়া হয়। এটি মানবিক কারণে করা হয়েছে । তবে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিতাস গ্যাস এলাকার মেডিক্যাল অফিসার ডা. আব্দুর রউফ রনি জানান, ৩ সদস্য নিয়ে সেন্টমার্টিনের ভ্রমণে এসে ঘুর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে হয়েছে। তিন দিন পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন কিংশুক রিসোর্টের কর্তৃপক্ষ। বাকী হোটেল রেস্তোরাঁও স্বল্প মূল্যে সেবা অব্যহত রাখেন বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা।
কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, কোনো যাত্রী ছাড়া সাড়ে ৯ টার দিকে দুইটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আশা করছি বিকেলের মধ্যে ফিরবেন আটকাপড়া পর্যটকরা।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, সকল সতর্কতা সংকেত তুলে নেয়া হয়েছে। সকল ধরণে নৌ যান চলাচলে এখন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশমতে দুইটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। যাতে পর্যটকরা নিরাপদে ফিরতে পারেন।