চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার নারাজি আবেদন করেছেন। আগামী ২১ অক্টোবর এ আবেদনের শুনানি হবে। এদিকে নির্দেশনা অনুযায়ী হাজির না হওয়ায় হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সরবরাহকারী এহেতাশামুল হক ওরফে ভোলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বহুল আলোচিত মিতু হত্যা মামলা ধীরে ধীরে আরও জটিল হয়ে পড়ছে। একের পর এক আইনি জটিলতা দেখা দিচ্ছে এই মামলায়। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বাবুল আকতারের পক্ষ থেকে পিবিআইয়ের দেওয়া মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি জমা পড়ল আদালতে। আদালত আগামী ২১ অক্টোবর বাবুল আকতারের উপস্থিতিতে এই আবেদনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।
বাবুর আকতারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, নারাজি আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২১ অক্টোবর বাদীর উপস্থিতিতে আবেদনের শুনানি হবে।
তিনি বলেন, এই মামলায় (বাবুলের করা মামলায়) ৫১ জনের বেশি সাক্ষীর ১৬১ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। কোনো সাক্ষী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি; কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ইফতেখার সাইমুল বলেন, বাবুল আক্তার মহলবিশেষের ষড়যন্ত্রের শিকার। ইতিপূর্বে তিনি স্বর্ণের চোরাকারবারি ও কালোবাজারিদের ধরেছেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করেছেন। আমরা মনে করি, একটি বিশেষ মহল এবং এই সিন্ডিকেট এরা সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত এহেতাশামুল হক ওরফে ভোলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এতে যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন চাঞ্চল্যকর এই মামলার অন্যতম আসামি ভোলা। অবশ্য পিবিআই নতুন করে তদন্ত শুরু করার আগে থেকে জামিনে ছিল এই আসামি। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানালে আদালত তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এহেতাশামুল হক ভোলা আদালতে হাজির না হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে।