ছবি : বহুমাত্রিক.কম
গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইড়,বলদীঘাট,শিমলাপাড়া বিটে বনের জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন,মাওনা ইউনিয়ন,রাজাবাড়ি প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে বনের সংরক্ষিত গেজেট ভুক্ত প্রায় হাজার বিঘা জমি এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ও স্থানীয় কতিপয় দালার তদবির কারকদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বনের জমি দিনে রাতে বন কর্মকর্তাদের মেনেজ করে দখল প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছে ওই অসাধু মহলটি।
এদিকে কেউ কেউ আবার শুধু দখলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, জমি দখল করে নিজের কব্জায় রেখে পজেশন বিক্রির হিড়িক পড়েছে এই ইউনিয়ন গুলোতে। এর ফলে কেউ আঙ্গুল ফুলে হচ্ছে কলা গাছ। আবার অন্যদিকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বনাঞ্চল।
এর কারণে বৈরী আবহাওয়াসহ জলবায়ুর ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এ বিষয়ে বলদীঘাট বিট কর্মকর্তা মোঃ আয়ুব খান জমি দখলের বিষয়টি স্বীকার করে জানান আমি নতুন যোগদান করেছি। তবে আমরা বসে নেই। ইতোমধ্যেই বনের জমি দখলের প্রায় ১৫-২০টি অবৈধভাবে নির্মিত ঘরবাড়ি উচ্ছেদসহ বন আইনে মামলা দিয়েছি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী মোড়ের ২শ গজ দক্ষিণি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করছেন গফরগাঁও থেকে আসা জহিরুল নামে এক ব্যক্তি,তার দেখাদেখি পাশের জমিতে সোহাগ নামের এক জন পাকা দালান ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেছেন। এদিকে পোষাইদ গ্রামে মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে খোরশেদ মিয়া ৩/৪টি পাকা দালান ঘর নির্মাণ করেছে,ছাতিরবাজার এলাকার নয়ন মিয়াসহ অনেকেই বিট কর্মকর্তাদের মেনেজ করেই ঘর নির্মানের কাজ করছেন। তবে বিট কর্মকর্তার তথ্যমতে দেখা গেছে মামলার প্রেক্ষিতে অবৈধ দখলকারীর হোতাদের কাওকেই আটক করা হয়নি।
সাতখামাইড় বিট কর্মকর্তা ছিদ্দিক মিয়া জানান, বিশাল এ বন এলাকা দেখাশোনা ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্চ কর্মকর্তা আনিছুল জানান,যারা সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করেছে তাদেরকে মামলা দিয়ে দিয়েছি। অচিরেই অবৈধ দখলদারিদের উচ্ছেদ করে বনের জমি উদ্ধারের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বহুমাত্রিক.কম