Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অপরাধীরা দ্রুত শাস্তি না পাওয়ায় ধর্ষণ বাড়ছে: হাইকোর্ট

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ২০ আগস্ট ২০১৯

প্রিন্ট:

অপরাধীরা দ্রুত শাস্তি না পাওয়ায় ধর্ষণ বাড়ছে: হাইকোর্ট

ঢাকা : দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারার কারণে ধর্ষণের মতো অপরাধ বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  মঙ্গলবার ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলায় দুই আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে আদালতের লিখিত আদেশ।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর প্রকাশিত ওই লিখিত আদেশে উঠে এসেছে আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়গুলো।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, `সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ বিশেষত শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার মতো ঘৃণ্য অপরাধ বেড়েই চলেছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীর দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারার দায় মূলত রাষ্ট্রের ওপরেই বর্তায়। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগও জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নয়।`

এতে আরো বলা হয়েছে, `আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার আসামিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া ও ধূর্ত প্রকৃতির। এরা ভিকটিম ও তার পরিবারের ওপরে চাপ-প্রভাব বিস্তার, আদালতে সাক্ষ্য দিতে ভয়ভীতি, প্রলোভনসহ বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করে। ক্ষেত্র বিশেষে সালিশের নামে সামাজিক বিচার করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য এবং আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে বিরত থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে থাকে। এ অবস্থায় সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিকল্প নেই। আমরা প্রত্যাশা করছি, দ্রুততম সময়ে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করবে সরকার।`

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, `দেশের বিভিন্ন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাগুলো বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ। এর মধ্যে ৪-৫ বছরের পুরনো মামলার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অভিযোগ গঠনে বিলম্ব এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কয়েক মাস পরপর তারিখ পড়ছে। যদিও এই (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০) আইনের ২০(৩) ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, মামলা বিচারের জন্য নথি প্রাপ্তির তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে বিচার কাজ সমাপ্ত করার।`

বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর ধর্ষণের মামলায় আসামি মো. রাহেল ওরফে রায়হান এবং মো. সেকান্দার আলী জামিন বিষয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে পর্যবেক্ষণসহ এই আদেশ দেন।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer