Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

শ্রাবণ ১ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫

ইসরাইলের হামলায় কেঁপে উঠেছে দামেস্ক

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২০, ১৭ জুলাই ২০২৫

প্রিন্ট:

ইসরাইলের হামলায় কেঁপে উঠেছে দামেস্ক

ফাইল ছবি

ইসরাইলি সেনাবাহিনী বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও দক্ষিণাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। এরই মাঝে দারিদ্র্যপীড়িত এবং মূলত দ্রুজ অধ্যুষিত সুইদা প্রদেশে চতুর্থ দিনের মতো প্রাণঘাতী সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ চলছিল। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আমাদের দ্রুজ ভাইদের রক্ষা করতে এবং শাসকগোষ্ঠীর সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করতে কাজ করছি। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে বিশ্বাসঘাতক আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। 

রবিবার থেকে শুরু হওয়া দ্রুজ মিলিশিয়া ও বেদুইন গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি দক্ষিণের সহিংসতা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তবে বিশ্বাস করেন যে সহিংসতা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে। বুধবার সন্ধ্যায় এক্স-এ তিনি লিখেছেন, আমরা এমন কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপে একমত হয়েছি, যেগুলোর মাধ্যমে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির অবসান রাতেই ঘটবে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও আরব পক্ষগুলোর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায়, যারা বর্তমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে কাজ করছে। ইসরাইল এখনো যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। 

সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, সিরীয় সেনারা সুইদা থেকে সরে যাচ্ছে। সরকার ও স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে একটি চুক্তির আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা বলেছে, আইনবহির্ভূত গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান শেষ হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। সোমবার থেকে ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা শুরু করে। সুইদা শহরে সরকারপন্থী বাহিনীকে মোতায়েন করার পরপরই হামলা চালানো হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সুন্নি ইসলামপন্থীরা বাশার আল-আসাদকে উৎখাতের পর এটাই ছিল প্রথমবারের মতো হামলা।

দ্রুজ সম্প্রদায় শিয়াদের একটি শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়। তারা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে, যদিও তিনি তাদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। গত আট মাসে বেশ কয়েকবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুজদের মধ্যে ভয় বাড়ছে। মে মাসে দামেস্কে ও সুইদায় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত হন। সেখানে সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্র ইসলামপন্থীদের মুখোমুখি হয় দ্রুজ যোদ্ধারা। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর সরকার স্থানীয় দ্রুজ মিলিশিয়াদের মধ্য থেকে নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে সম্মত হয়।