
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আমরা পেশাদারির সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে এসংক্রান্ত শুনানি শুরু করার সময় এ কথা বলেন তিনি।
শুনানি উপলক্ষে নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সংস্থাটি। নিয়ম মেনে আবেদনকারীদের নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। চার দিন শুনানি শেষে ইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩০০ আসনের সংসদীয় সীমানা গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব জানান, আজ রবিবার কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি রয়েছে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫ আসনের; আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১ আসনের; সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ আসনের, চাঁদপুর-২ ও ৩ আসনের, ফেনী-৩ আসনের এবং লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের।
৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটারসংখ্যায় সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয় এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
১০ আগস্টের মধ্যে ৮৩টি সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে যে এক হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা হয়। ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই শুনানি চলবে চলতি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত; এই চার দিন দাবি-আবেদন নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।