” সচেতন চাষী,সমৃদ্ধ কৃষি ” এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে কুষ্টিয়ায় নকল ও ভেজাল কৃষি পণ্যের ক্ষতি বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বালাইনাশক কোম্পানীর সিনজেনটার সহযোগীতায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ আলােচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবীদ ড. হায়াত মাহমুদ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বীজ প্রত্যয়ন অফিসার এ কে এম কামরুজ্জামান, বিএডিসি কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম,সিনজেনটা কোম্পানীর জোনাল সেলস ম্যানেজার আসাদুজ্জামান মাসুদ, ব্র্যান্ড ম্যানেজার জামাল হায়দার।
এসময় বক্তব্য রাখেন বিএফএ কুষ্টিয়া জেলা ইউনুট এর সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল, ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিসার শায়েখুল ইসলাম, কুমারখালি উপজেলা কৃষি অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি উপ-সহকারীবৃন্দ,কৃষক ও বালাইনাশক ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে সিনজেনটা কোম্পানীর কর্পোরেট ম্যানেজার জামাল হায়দার নকল ও ভেজাল কৃষি পণ্যের ক্ষতির বিষয়গুলাে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন যে, ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে জেলা উপজেলা পর্যায়ে অনেকেই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা নকল ও ভেজাল কৃষি পণ্য প্রতিরোধে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনার মাধ্যমে সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারেন।
বক্তারা বলেন, ফসলে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাঙ্খিত উপকার পাচ্ছেন না চাষিরা। অনেক ক্ষেত্রে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। কৃষকদের অভিযোগ, আকর্ষণীয় মোড়কে বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের ভেজাল কীটনাশক, দামও বেশি। প্যাকেটের গায়ের দামেই কৃষকরা কিনছেন এসব কীটনাশক। এরপর ফসলে ব্যবহার করে ফল মিলছে শূন্য। সারের বেলায়ও একই অবস্থা। এছাড়াও অনেক সময় দোকানিরা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কোম্পানির কাছে ফেরত না দিয়ে বা নষ্ট না করে কৃষকের কাছে বিক্রি করছেন। কৃষক সরল বিশ্বাসে তা নিয়ে ক্ষেতে ব্যবহার করছেন। পরে দেখা যাচ্ছে ওই ওষুধে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হচ্ছে বেশি।
অনেক নিম্নমানের কোম্পানি রয়েছে। তারা বিভিন্ন কীটনাশক বাজারজাত করে থাকে। চাষিরা না বুঝে এগুলো কিনছেন। এছাড়াও ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ কৃষিপণ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি সকলকে সচেতনও হতে হবে।
বহুমাত্রিক.কম