করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকালে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চা শ্রমিকরা কাজ করছেন। সরকারি নির্দেশনায় সারা দেশের সাধারণ ছুটি শুরু হলেও চা শ্রমিকদের এ ছুটির আওতার বাহিরে রাখায় গত কয়েকদিন ধরে চা বাগানগুলোতে আন্দোলন চলছে।
শুক্রবার সকাল থেকে কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগান ও ফাঁড়ি বাগানসহ পাঁচটি চা বাগানের শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় ছুটি শুরু করে। শনিবার সকাল থেকে উপজেলার মৃর্তিংগা চা বাগানের চা শ্রমিকরা স্ব্চ্ছোয় ছুটিতে চলে যান।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির (অঞ্চলের) কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা জানান, মৃর্তিংগা চা বাগানের ১০১৫ জন শ্রমিক সাধারণ ছুটির জন্য ব্যবস্থাপকের কাছে জোর দাবি জানায়। এ দাবির প্রেক্ষিতে মৃতিংগা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সমর্থন জানালে ব্যবস্থাপক ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন।
মৃর্তিংগা চা বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক প্রদীপ বর্মন বলেন, চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে চা বাগানে ছুটির কোন নির্দেশনা আসেনি। তাই ছুটি দেওয়া হয়নি। তবে এ চা বাগানের চা শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের অর্জিত ছুটি থেকে শনিবার থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
এ দিকে কমলগঞ্জে সরকারি মালিকানাধীণ ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসির) ৫টি চা বাগান রয়েছে। এসব চা বাগানে ছুটির দাবিতে গত শুক্রবার থেকে চা শ্রমিক ও চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির মধ্যে আলোচনা চলছে। চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-ধলই ভ্যালির কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, আশা করা যাচ্ছে চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে শীঘ্রই সরকারিভাবে ছুটি দানের নির্দেশনা আসবে।
বহুমাত্রিক.কম