চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুরে শিবনগর গ্রামের `জঙ্গি আস্তানা` থেকে আহত অবস্থায় এক নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রথমে ওই নারীকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এর ১৫/২০ মিনিট পরই একটি শিশুকে বের করে আনা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার নারী ও শিশুর পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, বিকাল পৌনে ৪টা থেকে ওই এলাকায় আর কোনো গুলির শব্দ শোনা যায়নি। বিস্ফোরণের কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান শুরু হয়। এ সময় মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজও পাওয়া যায়।
বুধবার সকালে সন্ধান পাওয়ার পর সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সোয়াত টিম শিবগঞ্জ আসার পর আস্তানাটির দেয়াল ভেঙে অভিযান শুরু করে। এ অভিযানের নাম দেয়া হয় `অপারেশন ঈগল হান্ট`।রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার ভোর ৫টা থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।
ওই বাড়িটি স্থানীয় জেন্টু হাজির। তিনি পাশের আরেকটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন। দু`মাস আগে একই গ্রামের মশলা ব্যবসায়ী আবু (৩০) তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া উঠেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, বাড়িটিতে আবুর পরিবার ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন থাকতে পারেন।
পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান `ঈগল হান্ট` শুরুর আগে আবুকে আত্মসমর্পণের জন্য তার মা ও পরিবারের সদস্যদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বিকালে আবুর চাচি চামেলি বেগম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুনা বেগমকে নিয়ে তার মা ওই বাড়ির দরজার সামনে পর্যন্ত যান। এ সময় মাইকে তারা আবুকে বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান। বেশ কয়েকবার আহ্বান জানানোর পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশ ছিল।
জঙ্গি আস্তানা ঘিরে বুধবার সকাল ১১টা থেকে জারি করা ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম