মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র মামলায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার গাড়ি এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে পৃথক দুই চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক মঙ্গলবার এ চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোনা চোরাচালান ও হুন্ডি কারবার, জমি দখল ও জালিয়াতি, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে গত বছরের ২০ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে `গোল্ডেন মনির`কে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে চালানো র্যাবের ওই অভিযানে মনিরের বাসা থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, মদ, বিদেশি মুদ্রাসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, অনুমোদনহীন গাড়ি, রাজউক ও ভূমি কর্মকর্তাদের জাল সিল, দলিলসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। এ ছাড়া তাঁর মালিকানাধীন গাড়ির শোরুমেও অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন গাড়ি জব্দ করা হয়।
২২ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা থানায় র্যাব বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই তিনটি মামলা দায়ের করে। ওইদিন অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালত মনিরের ১৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া একইদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মনিরের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালত। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় গোল্ডেন মনিরের ফের ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলামের আদালত।
এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মনিরের বিরুদ্ধে আট বছর আগে করা মামলায় তিন কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গত বছরের ৩ ডিসেম্বর কালের কণ্ঠকে জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন চার্জশিট দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।