ঢাকা : স্থায়ী নিয়োগবঞ্চিত হাইকোর্ট বিভাগের দুই অতিরিক্ত বিচারপতির আবেদনের শুনানি এক সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
নিয়োগ বঞ্চিত ফরিদ আহমদ শিবলীর আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, আপিল বিভাগে নিয়োগবঞ্চিত আরেক প্রাক্তন বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের আবেদনও শুনানির জন্য রয়েছে। সেই মামলার সঙ্গেই বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর আবেদনেরও শুনানি হবে বলে আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে আদালত সূত্র জানায়।
বিচারপতি আলতাফ হোসেনের মামলা যেদিন কার্য তালিকায় আসবে সেদিনই ফরিদ আহমদ শিবলীর আবেদনের ওপরও শুনানি হবে।
ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে ওই ৮ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বাকি দুজনের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী গত ১৫ ডিসেম্বর পরলোকগমন করেন। তবে স্থায়ী নিয়োগবঞ্চিত হন ফরিদ আহমদ শিবলী।
স্থায়ী নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রিট করেন শিবলী। ওইদিনই তার আবেদনটি নিস্পত্তি করে দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্ট রিটের বাদী শিবলীকে আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এরপর তিনি ‘লিভ টু আপিল’ করলে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি আবেদনটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সেই অনুযায়ী রোববার আবেদনটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসলে আদালত এ আদেশ দেন।
অপরদিকে ২০১২ সালের ১৩ জুন এ বি এম আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ বি এম আলতাফ হোসেনকে বাদ দিয়ে অন্য পাঁচজনকে ২০১৪ সালের ৯ জুন স্থায়ী করা হয়।
এরপর স্থায়ী বিচারপতি আলতাফ হোসেনকে নিয়োগ পেতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট রিট করেন এ বি এম আলতাফ হোসেন। একই বছর ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ তার আবেদন খারিজ করে দেন।
ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন আলতাফ হোসেন। ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর তার লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে (আপিলের অনুমতি দিয়ে) সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।
সাত অ্যামিকাস কিউরি হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমদুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, আজমালুল হোসেন কিউসি ও এএফ হাসান আরিফ।