ফাইল ছবি
যশোর : যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড ও পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীদের সরকারী ঔষুধ না দিয়ে তাদের বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগীরা।
মাগুরার মহাম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের মৃত আলতাফের ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন সরকারী ভাবে সাপ্লায় আছে। কিন্তু তা থেকে না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছি।
একই জেলার শালিখা উপজেলার বাগডাঙা গ্রামের ইউনুচ মোল্যার ছেলে মিরাজ হোসেন (১৪)৷ তারা দুইজনে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যদিকে যশোর সদর উপজেলার মামলা খোলা গ্রামের খয়বার শেখের ছেলে গোলাম রসুল (৪৫) ও চৌগাছা উপজেলার দক্ষিন কয়ার পাড়া গ্রামের আরজুল্লাহ দফাদারের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৫০) তারা দুজনে পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অসুস্থ হাবিবুরের ভাতিজা সেলিম হোসেন বলেন, আমার চাচা হাবিবুর রহমানকে ৮ এপ্রিল রাত ২টার দিকে কিটনাশক পান করার কারণে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করি। সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাশের ইনজেকশন সহ সকল প্রকার ওষধ আমরা বাইরে থেকে ক্রয় করেছি। সব ঔষুধ যদি বাইরে থেকে কিনতে হয় তাহলে সরকারী হাসপাতালে এসে লাভ কি?
যশোর জেনারেল হাসপাতালে সরকারি ওষধ সাপ্লায় আছে কিন্তু আমাদের দেয়া হচ্ছে না। অসুস্থ মিরাজের পিতা ইউনুচ অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে মিরাজ জ্বরের কারণে অসুস্থ হলে গত ৯ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করি৷ সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত আমরা এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশনসহ সকল প্রকার ওষধ বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য হয়েছি।
অন্যদিকে পুরুষ ওয়ার্ডের ১৬ নাম্বার বেডের রোগী গোলাম রসুলের স্ত্রী অঞ্জনা বেগম অভিযোগ করে বলেন,আমার স্বামী গোলাম রসুলের শ্বাস কষ্ট ও বুকে ব্যাথা নিয়ে ৮ এপ্রিল যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ পেইংং ওয়ার্ডে ভর্তি করি৷ সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে কোন ওষুধ পাইনি।
হাসপাতালের পুরুষ বেড ১৮ নম্বারে ভর্তি আব্দুল মোতালেবের বোন সোনালী অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই আব্দুল মোতালেব হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ৮ এপ্রিল সকালে সাড়ে ১০টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে ভর্তি করি। সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত একটা গ্যাসের ক্যাপসুল পেয়েছি।
হাসপাতালে সরকারী সাপ্লায় এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশনসহ সকল প্রকার ঔষুধ বাইরে থেকে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে এন্টিবায়েটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন আছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের ইনচার্জ নাজমা খাতুন, পুরুষ ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ সেবিকা শেফালী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ বলেন , এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন আগে সাপ্লায় ছিলো। বর্তমানে পরিমাণে একটু কমে যাওয়ার কথা৷ শনিবার অফিসের খাতাপত্র দেখতে হবে যে, ওষধ সাপ্লায় আছে কিনা। ঔষুধ আনতে ঢাকায় চাহিদা দেয়ায় হয়েছে। ওই সব ঔষুধ আসলে আবার রোগীদের দেয়া সম্ভব হবে।
বহুমাত্রিক.কম