ঢাকা : ভারতের আলোচিত অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা সারদা-রোজভ্যালি কাণ্ডে এবার নাম জড়িয়ে পড়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের।
মঙ্গলবার তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সম্যান্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। ১৯ জুলাই জেরার মুখে বসছেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই মুহুর্তে কিংবদন্তী অভিনেতা।
মঙ্গলবার প্রায় সারাদিন ধরে তথ্যটি নিয়ে বিভ্রান্তে থাকলেও রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কথা স্বীকার করেছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে বীরভূম জেলায় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ওই অভিনেতা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে গোয়েন্দাদের জেরার জন্য ডাকা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে বলেছেন, ওই চিঠি তার সংস্থাকে দেয়া হয়েছে, তাকে নয়।
ইডি সূত্রের খবর, আগামী ১৯ জুলাই প্রখ্যাত ওই অভিনেতাকে কলকাতার সল্টলেকে অবস্থিত ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে যেকোনো তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত তিনি। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সবধরণের সহযোগিতাও করার কথাও বলেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রোজভ্যালি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ওই সংস্থার বহু অনুষ্ঠানে ওই অভিনেতাকে দেখা গেছে।
রোজভ্যালি সংস্থাটির নামের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য বন্ড বিক্রি করে এই অর্থ সংগ্রহ করত ওই সংস্থাটি। সেই সংস্থার সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আর্থিক কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা সেটাই তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করবে।
শুধু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একা নন, ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা অভিনেত্রী শতাব্দি রায়, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শোভা প্রসন্নসহ বহু বিশিষ্টজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সবার বিরুদ্ধেই বেআইনি অর্থ লগ্নিকারী কোনো না কোনো সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।