 
									ফাইল ছবি
জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে মঙ্গলবার। এ সময় সিদ্দিকের গায়ের পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। সিদ্দিককে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
পক্ষে বিপক্ষে, আলোচনা ও সমালোচনায় মব নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। এবার সিদ্দিকের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম।
মবকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না।
কেন জানি মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই।’রাজনৈতিক মতাদর্শ যাদের রয়েছে তাদেরকেই মবের কবলে পড়তে হচ্ছে। দিনকে দিন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
এ প্রসঙ্গে আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে কিছু লোক! দলবদ্ধভাবে এসে শারীরিকভাবে আঘাত করছে, আক্রমণ করছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলছে, এরপর থানায় নিয়ে সোপর্দ করছে। থানায় নিয়ে সোপর্দ করতেই যদি হয়, তাহলে প্রথম থেকে তারা আইন হাতে তুলে নিল কেন! তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে—এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় আরও নানান স্তরে হবে।
এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।’
রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পরে এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রমনা থানার ভেতরে নিয়ে গেলে পুলিশ বাইরে আসে। এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এ দুই মামলায় তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে রমনা থানা পুলিশ।





 
											 
											 
											 
											 
											 
											 
											